১৬ মার্চ, ২০২১ ০১:৪১
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, আমি এসেছি ইসলামের কথা বলতে, আমরা আল্লাহর বান্দা হিসেবে আল্লাহর কথা বলবো। ইসলামের কথা বলতে গিয়ে কোন নাস্তিকের গায়ে আগুন জ্বললে আমরা দায়ী নয়। আমাদের ধর্ম ইসলাম, জাতি হিসেবে মুসলমান, আমাদের সংবিধান পবিত্র আল কোরআন। এগুলো যারা বিশ্বাস করে তারা আস্তিক ও মুসলমান।
তিনি ইসলামী সম্মেলনে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল মাক্রোঁ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রসঙ্গে বলেন, আবু জাহেল এখন না থাকলেও বর্তমানে আবু জাহেলের খালাতো ভাই ও তালতো ভাইয়েরা রয়েছে, বর্তমানের যুগে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল মাক্রোঁ আবু জাহেলের খালাতো ভাই, আবু জাহেল যেভাবে মহানবীর সাথে বেয়াদবি করেছে কুটক্তি করেছে সেইভাবে ফ্রান্সের মাক্রোঁ আমাদের নবীজীকে ব্যাঙ্গ করেছে। আমরা ফ্রান্সের দূতাবাস ঘেরাও করেছিলাম এবং বলেছিলাম যতদিন এ বেয়াদব মাক্রোঁ পৌনে দুইশত কোটি মুসলমানের কাছে ক্ষমা চাইবে না ততোদিন এই ফ্রান্সের দূতাবাস বাংলাদেশের থাকতে দিব না।
বাবুনগরী বলেন, এ গেলো খালাতো ভাই আর আবু জাহেলে তালতো ভাই হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সে আবু জাহেলের বড় তালতো ভাই। এ কসাই মোদি গুজরাট, আহমেদাবাদে মুসলমানদের কচু আর গাজরের মতো কেটেছে। কাশ্মীরে মুসলমানদের রক্তের দাগ আছে এখনো কসাই মোদীর হাতে। শেষে বাবরী মসজিদকে ভেঙে রাম মন্দির করছে। মসজিদ আল্লাহর ঘর মন্দির মূর্তির ঘর। আল্লাহ সব করতে পারেন মূর্তি কিছু করতে পারেনা অক্ষম। যে মূর্তিকে নরেন্দ্র মোদি পূজা করেছে সেই মূর্তি কি মিস্টি খেতে পারবে। আল্লাহ ঘর ভেঙে মূর্তির ঘর বানিয়ে মোদি বাংলাদেশে আসতে পারবে না।
সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেলে হেফাজতে ইসলাম দিরাই উপজেলা শাখার উদ্যোগে দিরাই পৌর এলাকার স্টেডিয়াম মাঠে শানে রিসালাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হেফাজতের আমির।
মাওলানা শেখ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও হেফাজতের সহ সভাপতি মাওলানা নুর উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, নবীজীর দুষমন, নবীজিকে নিয়ে কুটুক্তিকাীরদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান পাশ করতে হবে, এ দাবী আদায়ে প্রয়োজনে নবী প্রেমিকরা রক্ত ঝড়াবে।
নবীর দুষমন ও কটুক্তিকারীদের জানের দুষমন উল্লেখ করে তিনি বললেন, নবীজির দোষমনদের খতম করা হবে ঈমান। আমাদের কথা স্পষ্ট মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা আদালত ও শাসক দলের, মুসলিম দেশ হিসেবে যদি তা না করা হগয় তাহলে রাষ্ট্র ব্যর্থতার পরিচয় দেবে। দাবী একটাই মৃতুদণ্ডের আইন পাস করতে হবে।
সমাবেশে এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা সোয়েব আহমদ, মুফতি সফিকুল আহাদ প্রমুখ।
আপনার মন্তব্য