নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ জুলাই, ২০২১ ২৩:২১

যুবলীগ নেতা অপু গ্রেপ্তার: সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ডিআইজির কাছে স্মারকলিপি

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় পুলিশের এক উপপরিদর্শকের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া যুৃবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপুকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর অভিযোগ করা হয়েছে।

এমন অভিযোগ এনে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বৃহস্পতিবার সিলেটের উপ মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। শাল্লা নাগরিক মঞ্চ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সংগঠনটির সমন্বয়ক আইনজীবী সুব্রত দাশ ডিআইজি মফিজ উদ্দিন ভূইয়ার কাছে স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করেন। এসময় আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী লিটন ও শিক্ষক বিপুল তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

গত ১২ জুলাই রাতে গ্রেপ্তার করা হয় উপজেলা যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপুকে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন।

অপুর বিরুদ্ধে শাল্লা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলীর উপর হামলার অভিযোগ আনা হয়। হামলায় অপু ছাড়াও আরও ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনাটি সাজানো। হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে প্রচারিত একটি সংবাদের লিংক ফেসবুকে শেয়ার করার জেরে তাকে ফাঁসানো হয়। তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে নির্যাতনও করা হয়।

এতে বলা হয়, গত ৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের তৎকালীন নেতা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে বেড়াতে গিয়ে জনরোষে পড়ার পরদিন তার স্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস হয়। যা প্রচার করে একাত্তর টিভি। ওই সংবাদের লিংক ফেসবুকে শেয়ার করেন অপু। এরপর স্থানীয় কয়েকজন তাকে হুমকি দেয়।

এর আগে ১৭ মার্চ একই উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটে। এ কারণে ফেসবুকের হুমকির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১০ এপ্রিল শাল্লা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘সাধারণ ডায়েরি করার পরও থানা থেকে হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অপুর উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়।

এসআই শাহ আলীর চাপ প্রয়োগের বিষয়টি গত ১৪ এপ্রিল আমরা পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানায় অপুর পরিবার। পরে সার্কেল এএসপি বিষয়টি অনুসন্ধান করেন এবং এসআই শাহ আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

‘এই ঘটনার জেরেই এখন আমার অপুর বিরুদ্ধে হামলার মিথ্যে অভিযোগ তোলা হয়েছে। অথচ ঘটনার রাতে তিনি বাসায় ছিলেন। বাসা থেকে তাকে থানায় একটি জরুরি কাজের কথা বলে ডেকে নেয়া হয়। এরপর সেখানে তাকে রাতভর মারধর করা হয়। ভোররাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।

পুলিশের উপ হামলা ছাড়াও মাদক গ্রহণের অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।

দুটি মামলাকেই ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও এসআই শাহ আলর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত