হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

১৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:৫৫

নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে আটকে গেলো হবিগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন

নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে আটকে গেলো ঐতিহ্যবাহি জেলা ক্রীড়া সংস্থা’র নির্বাচন। খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে আপিল-আপত্তির কারণে ঘোষিত তফসিল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক গণবিজ্ঞতির মাধ্যমে এ তফসিল স্থগিত করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার শামছুদ্দিন মোঃ রেজা।

গণ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ২০২১-২৫ মেয়াদে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে গত ৪ অক্টোবর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রকাশিত হয় খসড়া ভোটার তালিকা। ওই তালিকায় শহরের রাজনগরস্থ মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হন সদ্য ঘোষিত কমিটির (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন। এতে আপত্তি জানান একই ক্লাবের অপর কমিটির প্রতিনিধি দাবীদার আব্দুল মোতালিব মমরাজ। পরে আপত্তি শুনানীর সময় উভয় ব্যক্তির ভোটাধিকার (প্রতিনিধিত্ব) বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এতে সন্তোষ্ট হননি কেউই। আপিল করা হয় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে। বিষয়টি বর্তমানে শুনানীর অপেক্ষায় রয়েছে। এ অবস্থায় স্বাভাবিক কারনেই ঘোষিত তফসিল স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের ১৯ সদস্যের কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সম্পাদকসহ ৪ জন দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে। এছাড়াও নিস্ক্রিয় আছেন আরো ২ সদস্য। এরই মাঝে মৃত্যুবরণ করেন সভাপতি তকাম্মুল হোসেন কামাল। এ সুযোগে কার্যকরী কমিটিতে দানা বাধে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনী তফসিল ঘোষিত হলে ক্লাবটির প্রতিনিধিত্ব নিয়ে এ দ্বন্দ্ব আরো প্রকট আকার ধারণ করে। গঠিত হয় আখলাক হোসেন মানু-জয়নাল আবেদীন এবং সালাউদ্দিন আহমেদ টিটু-সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে পৃথক দুটি পাল্টাপাল্টি কমিটি। ক্লাবটির প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ‘মানু-জয়নাল’ গ্রুপ থেকে জয়নাল আবেদীন এবং ‘টিটু-সালা উদ্দিন’ গ্রুপ থেকে আব্দুল মোতালিব মমরাজ- এর নাম পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘মানু-জয়নাল’ গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘১৯ সদস্যদের কার্যকরী কমিটির মধ্যে সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম-সম্পাদকসহ ৪ জন বিদেশে, ২ জন দীর্ঘদিন ধরে নিস্ক্রিয় রয়েছেন। এছাড়াও সভাপতি মৃত্যুবরণ করায় বর্তমানে কার্যকরী কমিটির সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২ জনে। আমরা গঠনতন্ত্র মেনে ৯ সদস্যের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে কমিটি গঠন করেছি। খসড়া ভোটার তালিকায় আমার নাম অন্তর্ভূক্ত ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে শুনানীতে আমাকে না ডেকেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। আমি বিষয়টি মাননীয় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে আপিল করেছি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমাদের কমিটিই বৈধ এবং আমিই মোহামেডানের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য দাবিদার।’

অপরদিকে, ‘টিটু-সালাউদ্দিন’ গ্রুপের প্রতিনিধি দাবীদার সাবেক পৌর কমিশনার আব্দুল মোতালিব মমরাজ বলেন, ‘আমাদের আপত্তিতে উভয়ের প্রতিনিধিত্ব (ভোটাধিকার) বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। আমরা মাননীয় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে আপিল করেছি। বিষয়টি এখন শুনানীর অপেক্ষায়। গঠনতন্ত্র মেনেই আমাদের কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আমাকে ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত