সিলেটটুডে ডেস্ক:

১৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:৪৫

সিলেটে ঈদে মীলাদুন্নবী উপলক্ষে তালামীযে ইসলামিয়ার র‌্যালি

পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার উদ্যোগে ‘মুবারক র‌্যালি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিকেলে সিলেট নগরীতে হাজারো মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে এই র‌্যালি হয়েছে।

এর আগে র‌্যালি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক সুলতান আহমদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান ফরহাদ ও সদস্য সচিব এস এম মনোয়ার হোসেনের যৌথ পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আল্লামা মুফতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।

প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ দুলাল আহমদ।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন আনজুমানে আল ইসলাহর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম মনোওর আলী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, আনজুমানে আল ইসলাহর সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাহফিলে মীলাদুন্নবী (সা.) বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবু ছালেহ মো. কুতবুল আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, মুসলিম হ্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ম্যানেজার মাওলানা গুফরান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুজতবা হাসান চৌধুরী নুমান প্রমুখ।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং মাহফিলে মীলাদুন্নবী (সা.) বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, পাঠাগার সম্পাদক হাফিয মাওলানা নজীর আহমদ হেলাল, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা বেলাল আহমদ, অফিস সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য মো. আলমগীর হোসাইন, তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী, মাওলানা আখতার হোসাইন জাহেদ, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি হুমায়ূনুর রহমান লেখন, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মুহাম্মদ মুহিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক জায়েদ আহমদ চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুর রহমান, আনজুমানে আল ইসলাহ’র সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সালেহ আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান তাজুল, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।

র‌্যালি বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনজুরুল করিম মহসিনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত র‌্যালিপূর্ব আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেদওয়ানুল হক শিমুল, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তালুকদার, অর্থ সম্পাদক আব্দুল জলিল, অফিস সম্পাদক হুসাইন মোহাম্মদ বাবু, সহ-অফিস সম্পাদক মাসরুর হাসান জাফরী, সহ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দিন খান, স্কুল কলেজ বিষয়ক সম্পাদক রেদওয়ান রাশেদ, সদস্য আবু সাঈদ বখত নিয়াজী, সুনামগনজ জেলা সভাপতি আব্দুল গণি সোহাগ, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি জোন সিলেট শাখার সভাপতি সুলাইমান আহমদ চৌধুরী, সিলেট পশ্চিম জেলা সভাপতি কবির আহমদ, ঢাকা মহানগর সভাপতি ইমাদ উদ্দিন, শাবিপ্রবি সভাপতি গাওসুল আলম, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি কাওছার আহমদ, সিলেট পূর্ব জেলা সভাপতি ইসলাম উদ্দিন, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি সাদেকুর রহমান, কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি আরিফুর রহমান, সিলেট মহানগর সহ সভাপতি আতিকুর রহমান সাকের, মারুফ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক পিয়ার হাসান, সিলেট পূর্ব জেলা সাধারণ সম্পাদক রুহুল হুদা চৌধুরী, সিলেট পশ্চিম জেলা সাধারণ সম্পাদক কুতুব আল ফরহাদ, শাবিপ্রবি সাধারণ সম্পাদক শাহ ইয়াহইয়া আহমদ, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি জোন সিলেট এর সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মিসবাহ, হবিগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক ফয়ছল আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ মিনার, সিলেট মহানগরীর সহ-সাধারণ সম্পাদক কাওছার হামিদ সাজু ও সুনামগঞ্জ জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক ছায়েম হোসাইন প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত। তার সার্বজনীন শান্তির বার্তা দুনিয়ার দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। সমাজে সাম্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় তার আদর্শের কোনো বিকল্প নেই। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বমানবতার এক ক্রান্তিলগ্নে দুনিয়ার বুকে তাশরীফ এনেছিলেন। তখন মানুষে মানুষে ছিল হানাহানি। চারিদিকে ছিল অসত্য আর অন্যায়ের জয়জয়কার। দু:শাসনের যাতাকলে নিষ্পেষিত ছিল মানব সমাজ। এমনি সময়ে মানুষকে প্রকৃত মানবিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে দুনিয়ার বুকে তাশরীফ এনেছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি ছিলেন বিশ্বমানবতার জন্য আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ করুণা ও অনুগ্রহ। তার জীবনদর্শনে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের সর্বোত্তম ও পরিপূর্ণ আদর্শ নিহিত রয়েছে। সে আদর্শ অনুসরণে সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রিয়নবীর প্রতি যেমন সর্বোচ্চ ভালোবাসা লালন করতে হবে তেমনি তার সুমহান আদর্শ অনুসরণ, চর্চা ও প্রচার-প্রসারে আমাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সময়ে কিছু কুচক্রীমহল দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টির পায়তারা করছে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ইসলাম কখনো অশান্তি সৃষ্টি ও সংঘাতকে সমর্থন করে না। ইসলামের নবী দুনিয়াতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে নমুনা প্রদর্শন করেছেন এর নজীর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই প্রিয়নবীর আদর্শ অনুসরণে সংঘাত নয় বরং শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। কুমিল্লায় যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তা কোনো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে উস্কানীমূলক বক্তব্য পরিহার করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে পা দিয়ে মুসলমানদেরকে অযথা যেন হয়রানি করা না হয় সেদিকে সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশের শান্তি রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত