বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:

২১ অক্টোবর, ২০২১ ২১:৩৮

বিশ্বনাথে স্কুলছাত্র হত্যা, প্রধান আসামি সাইফুল গ্রেপ্তার

সিলেটের বিশ্বনাথের আলোচিত স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া (১৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি লন্ডনী সাইফুল আলমকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার রমনা থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সোয়া ৭টার দিকে ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকার কাঁচা বাজার সংলগ্ন এক বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকার রমনা থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীরসহ একদল পুলিশের সহযোগিতায় বিশ্বনাথ থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

গ্রেপ্তার হওয়া প্রবাসী সাইফুল চাউলধনী হাওর ইজারাদারদের ফাউন্ডার ও উপজেলার চৈতননগর (ইসলামপুর) গ্রামের মৃত আপ্তাব আলীর ছেলে।

তার বিরুদ্ধে চাউলধনী হাওর পাড়ের বাসিন্দা ও কৃষক ছরকুম আলী দয়াল হত্যা মামলাও রয়েছে। ওই মামলায়ও তাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে এবং মামলাটি বর্তমানে সিলেট পিবিআইয়ে তদন্তাধীন রয়েছে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান।

তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বনাথের আলোচিত স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাইফুল আলমকে বাদী পক্ষের উপস্থিতিতে ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

ঢাকা থেকে সাইফুল আলমকে আনতে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ এরই মধ্যে ঢাকায় রওয়ানা দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১ মে বিশ্বনাথের চৈতননগর গ্রামের নজির উদ্দিনের ক্ষেতের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে চান প্রবাসী সাইফুল আলম। এসময় তাকে বাঁধা দেন নজির উদ্দিন, চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা ১০ম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্র সুমেল মিয়া। এতে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সাইফুল আলমের বন্ধুকের গুলিতে ওইদিন সুমেল মিয়া নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন সুমেলের বাবা ও চাচাসহ ৪জন। ঘটনার পর ৩ এপ্রিল ২৭জনের নাম উল্লেখ করে বিশ্বনাথের থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের চাচা ইব্রাহীম আলী সিজিল।

সাইফুল আলমকে প্রধান আসামি করে দায়ের করা এ মামলায় অজ্ঞাতনামা রাখা হয় আরও ১৬ জনকে। মামলার পর থানা পুলিশ এ পর্যন্ত ৫জনকে আর র‌্যাব-৯ এর কর্মকর্তারা সাইফুলের ভাতিজা পারভেজকে গ্রেপ্তার করেছেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে থাকায় এতদিন সাইফুলকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও অবশেষে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত