নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ আগস্ট, ২০২২ ১৩:২৫

উত্যক্তের শিকার হয়ে আত্মহত্যা এমসি কলেজ ছাত্রী স্মৃতির

উত্যক্ত ও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রী স্মৃতি রানী দাস। এমনটিই জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

গত ২৫ মে এমসি কলেজের নতুন ছাত্রী হোস্টেলের চারতলার ৪০৩নং কক্ষ থেকে স্মৃতি রানী দাসের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি হোস্টেলের তৃতীয় তলায় ৩০৭নং কক্ষে থাকতেন। স্মৃতি আত্মহত্যা করেছিলেন বলে তখন জানিয়েছিল পুলিশ।

স্মৃতি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের সাপান্তার যুগল কিশোর দাাসের মেয়ে। তিনি এমসি কলেজে ইংরেজি বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় গত বুধবার শ্যামল দাস নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ।

তাকে আটকের পরই স্মৃতি রানী দাসের আত্মহত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন শ্যামল। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

স্মৃতি রানী দাসের আত্মহত্যার ঘটনায় পেনাল কোডের ৩০৬/৩৪ ধারায় শাহপরান থানায় মামলা (নং১৫/২৫/৫/২২) করেছিলেন তার বাবা যুগল কিশোর।

এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত যুবক শ্যামল দাস (২১) হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মশাকলি গ্রামের সুধাংশু দাসের ছেলে। বুধবার নগরের জালালাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে শাহপরান থানা পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার তাকে সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের  বলেন, ‘ঘটনার পর স্মৃতির মোবাইল ফোন জব্ধ করা হয়েছিল। ফোন থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে কাজ শুরু করে পুলিশ।’

তিনি বলেন, গত বুধবার শ্যামল দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, স্মৃতি রানী দাসকে তিনি কল দিতেন, উত্যক্ত করতেন। ওই ছাত্রীর কোনো একটি ‘ডকুমেন্ট’ পেয়ে সেটি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন শ্যামল দাস। স্মৃতির কাছে টাকাও চাইতেন তিনি। বিকাশে টাকাও নিয়েছিলেন।

নগরীর শাহপরান (রহ.) থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, ‘স্মৃতি রানী দাসের ম্যাসেঞ্জার হ্যাক করেছিলেন শ্যামল দাস। এর মাধ্যমে স্মৃতির ব্যক্তিগত ছবি পেয়ে যান তিনি।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত