হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

০৭ আগস্ট, ২০২২ ২৩:৪২

থানা থেকে ছাগল ছাড়াতে এমপির তদবির, তোলপাড়

প্রতীকী ছবি

থানা চত্বরে লাগানো গাছের চারা খেয়েছে একটি ছাগল। তাই ছাগলটিকে আটক করে পুলিশ। ছাগলটি এক ইউপি সদস্যের। ওই ইউপি সদস্য নিজের সাধ্যমতো চেষ্টার পরও থানা থেকে ছাগলটি ছাড়াতে পারেননি। তাই তিনি শরণাপন্ন হন স্থানীয় সংসদ সদস্যের। কিন্তু সংসদ সদস্যও থানা থেকে তদবির করে ছাগলটি ছাড়াতে পারেনি।

হবিগঞ্জের বাহুবলে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয় শনিবার।

ছাগলটি বাহুবল সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক আহমেদের।

ওই ইউপি সদস্য বলছেন, ‘ছাগলটিকে ছেড়ে দিতে ওসিকে ফোন দেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ। তবে ওসি এমপির কথা রাখেননি।

‘মঙ্গলবার আমার ছাগলটিকে থানায় আটক করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আহমেদ কুটির মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও ওসি ছাগলটি ছাড়েননি।’

ইউপি সদস্য আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। তিনি ওসির মোবাইলে ফোন দেয়ার পরও থানা থেকে আমার ছাগল ছাড়া হয়নি।’

যদিও ওসির ভাষ্য অবশ্য উল্টো। তিনি বলছেন, কারও তদবিরে ছাগল না ছাড়তে পরামর্শ দেন এমপি।

তবে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘ইউপি সদস্যের ছাগলটি থানার ভেতরের লাগানো গাছ বিনষ্ট করায় এটিকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ছাগলটি ছাড়াতে বেশ কয়েকজন লোক তদবির করেছেন। তাই সংসদ সদস্য আমাকে কল দিয়ে বলেছেন, আমি যেন কারও তদবির না শুনি এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিই।’

এ বিষয়ে এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদের মুঠোফোন দেওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আটক ছাগলটি শুক্রবার জরিমানা দিয়ে ফেরত পেয়েছেন ইউপি সদস্য ফারুক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত