নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ আগস্ট, ২০২২ ১২:৩৭

শোককে শক্তিতে পরিণত করার প্রত্যয়

শোককে শক্তিতে পরিণত করার প্রত্যয় নিয়ে সিলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।  

সোমবার সকাল ৯টায় সিলেট জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পুস্পাঞ্জলি অর্পনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।  

পরে একে একে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ সহ প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা মহান এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  

এদিকে সকাল ১০টায় কবি নজরুল অডিটোরিয়াম থেকে শোক র‍্যালি বের করে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট।   

এসব কর্মসূচিতে সবাই ক্ষুধা, দরিদ্র ও দুর্নীতিমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।  

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের ঘৃণ্যতম এক কলঙ্কিত অধ্যায়। ৪৭ বছর আগে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল।

বঙ্গবন্ধু ছাড়াও ১৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাড়িতে তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককে হত্যা করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা করে তাকে ও তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় রেন্টু খানকে হত্যা করা হয়।

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার, নিকটাত্মীয়সহ ২৬ জনকে ওই রাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তারা প্রাণে বেঁচে যান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত