সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৪৭

সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। আগস্ট মাসেই আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার সহ সকল শহীদদের হারিয়েছি। আপনারা জানেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার জন্য এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে নিহত করার পরে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। ক্ষমতায় আসার পরে  স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের দোষররা জননেত্রীকে শান্তি থাকতে দেয় নি।

তিনি বলেন, প্রিয় নেত্রীর ওপর বিভিন্নভাবে হামলা করা হয়েছে। এই আগস্ট মাসেই কয়েকটি হামলা করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের মদদে জঙ্গি গোষ্ঠী ২০০৫ সালের ১৭ ই আগস্ট সারা দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা করে। ২০০৪ সালের  ২১ শে আগস্ট  জননেত্রীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেও  বোমা হামলা করেছিল। মূলত আওয়ামী লীগ সহ দেশের নামি-দামি বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এই হামলা করা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে এটা করেছিল। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে আজ রাজপথে সরব মহানগর আওয়ামী লীগ।

তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে সবাইকে সর্বদা সোচ্চার হতে হবে। কারণ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের স্থান নেই। তিনি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় ২০০৫ সালের  দেশব্যাপী বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে জঙ্গিগোষ্ঠী কর্তৃক সিরিজ বোমা হামলা দিবসের প্রতিবাদে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সম্মুখ সড়কে মানববন্ধন এবং শহীদ মিনার থেকে কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, সিরিজ বোমা হামলা দিবসের প্রতিবাদে মহানগর আওয়ামী লীগ এবং  অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আজকের মানববন্ধন কর্মসূচি ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল পালন করছে। আপনারা দেখেছেন ২০০৪ সালে এই জঙ্গিগোষ্ঠী প্রথমে সিলেট শাহজালাল দরগাহ (রহঃ) মাজারের উরশে এবং বৃটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বোমা নিক্ষেপ করেছিল। তারপর তারা একই বছরের ৭ই আগস্ট গুলশান সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় বোমা নিক্ষেপ করে ইব্রাহিম ভাইকে হত্যা করেছিল এবং আমি সহ মহানগরের অনেক নেতৃবৃন্দ সেইদিন আহত হয়েছিলেন। এখনো আমরা স্প্রিন্টারের যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছি। পরবর্তীতে ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট সারাদেশে একযোগে জামাআতুল মুজাহিদীন (জেএমবি) বাংলাদেশ নামের এই জঙ্গি সংগঠন পরিকল্পিতভাবে দেশের ৬৩টি জেলায় একই সময়ে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। কিন্তু গ্রেনেড হামলার পরেও  আওয়ামী লীগ ঘরে যায় নাই। শরীরে গ্রেনেডের স্প্রিন্টার নিয়েও আমরা রাজনীতির ময়দান ত্যাগ করি নাই। যে কোনো দুর্যোগ ও দুর্বিপাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আরও বেশি শক্তিশালী হয়। তার প্রমাণ ইতিমধ্যে নেতাকর্মীরা দিয়েছে। আজকে মহানগর আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ,নবগঠিত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন। এটাই প্রমাণ করে যে, বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ এবং সাধারণ জনগণের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের কোনো আপোষ নেই। আওয়ামী লীগ তা প্রতিহত করবেই। আজ স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত রাজপথ। যেখানে নৈরাজ্য পরিলক্ষিত হবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে।

তিনি বলেন, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মীবৃন্দকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। তিনি সবাইকে আগামী ২১শে আগস্ট  মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণের আহবান জানিয়েছেন বক্তব্য শেষ করেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, বিজিত চৌধুরী, নুরুল ইসলাম পুতুল, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মোঃ সানাওর, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটি.এম হাসান জেবুল, বিধান কুমার সাহা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরান, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আসমা বেগম, যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন রবিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ।

মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল, মোঃ শাজাহান, মুক্তার খান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সাব্বির খান, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন,  রোকসানা পারভীন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, জাফর আহমদ চৌধুরী, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ,  ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, রকিবুল ইসলাম ঝলক, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল। মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এডভোকেট আব্দুল মালিক, আব্দুল মালিক সুজন, সুবাস চন্দ্র ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত।

অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি এম শাহরিয়ার কবির সেলিম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রুমেন, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহানারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সাবিনা সুলতানা,মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুসফিক জায়গিরদার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশ দাস মিঠু, মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রকিব বাবলু, মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি নোমান আহমদ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমেদ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত