হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২২:৫৪

হবিগঞ্জে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে হামলা, আহত ৫০

হবিগঞ্জে জলমহাল থেকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের টঙ্গিরঘাট ও রামনগর গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, টঙ্গিরঘাট এলাকার সমশেদ আলীসহ তার লোকজন গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাগাডলি নামক একটি জলমহাল ইজারা নিয়ে ফিশিং করে আসছিল। ভোরে রামনগর গ্রামের আফজল মিয়াসহ তাদের লোকজন ওই জলমহাল থেকে মাছ ধরতে যায়। এ সময় জলমহালে থাকা পাহারাদার সেবলু মিয়া ও বজলু মিয়া তাদের বাধা দেয়। তখন আফজলের পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে সেবলু মিয়া ও বজলু মিয়াকে আটকে রেখে মারধর করে।

বিষয়টি জানতে পেরে সমশেদ আলীসহ তাদের লোকজন জলমহালে গেলে উভয়পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে শিবলু মিয়া, জমশেদ আলী, সমশেদ আলী, কিতাব আলী, আজিজুর রহমান, ইয়াসিন মিয়া, নান্নু মিয়া, মনিরুল হক, আল-আমিন, ইমন আলী, কালাম মিয়া, সাইদুর রহমান, আব্দুল কাদির, আয়াত আলী, এনামুল হক, কুদ্দুছ আলী, এখলাছ মিয়া, আলাউদ্দিনসহ অন্তত ৩০ জনকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ।

পরে সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ওয়াহেদ গাজীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

তেঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মোতালিব জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সংঘর্ষে আহতদের বেশ কয়েকজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। বর্তমানে উভয়পক্ষই শান্ত আছে।’

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘তিনিসহ সদর থানার একদল পুলিশ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে কথা বলে তাদের শান্ত করে দিয়ে এসেছি।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত