সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০৬

ধর্মপাশায় ইউএনও ও এসিল্যান্ড করোনায় আক্রান্ত

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দুজনই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে ইউএনও ও উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে আসা মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান দুদিন ধরে জ্বর ও সর্দিতে ভুগছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে তিনি হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের জন্য গত শনিবার রাত নয়টার দিকে ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে কোভিড পরীক্ষার জন্য তিনি নমুনা দেন। এতে তিনি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন।

অপর দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অলিদুজ্জামান গত বৃহস্পতিবার ধর্মপাশা উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে যোগ দেন। তিনিও দুদিন ধরে গলাব্যথায় ভুগছিলেন। গত সোমবার তিনি ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড পরীক্ষার জন্য নমুনা দিলে তাঁর করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়।

ওই দুজন কর্মকর্তা বর্তমানে হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেবা নিতে আসা কয়েকজন জানান, ইউএনও ও এসিল্যান্ড উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদের কর্মকর্তাই করোনায় আক্রান্ত। এ অবস্থায় জরুরি পরামর্শ ও দাপ্তরিক কাজে তাদের না পাওয়ায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) অলিদুজ্জামান বলেন, ‘গলাব্যথার কারণে আমি গত সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে করোনার নমুনা দিলে আমার শরীরে কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে। বর্তমানে আমি উপজেলা পরিষদের রেস্টহাউসের একটি কক্ষে হোম আইসোলেশনে আছি। সেখান থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাপ্তরিক জরুরি কাজগুলো করছি। এখন আগের চেয়ে শারীরিক অবস্থার বেশ কিছু উন্নতি হয়েছে।’

ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান বলেন, ‘গত শনিবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আমার হাঁটুর লিগামেন্ট অপারেশন করার জন্য ছুটি নিয়ে সেখানে ভর্তি হতে গিয়েছিলাম। সেখানে ভর্তি হওয়ার আগে করোনার নমুনা দিলে আমার শরীরে করোনাভাইরাসের পজিটিভ ধরা পড়ে। আমি এখন সরকারি বাসভবনে হোম আইসোলেশনে আছি। এখন শরীরে জ্বর নেই। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় জনগণকে সরাসরি সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাধ্যমতো দাপ্তরিক কাজ করার চেষ্টা করছি।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত