নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ০২:৫০

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, হামলার শিকার বাবা

প্রতীকী ছবি

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের রাউৎখাই গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১০) যৌন হয়রানি করেছে টমটম চালক বিল্লাল আহমদ (৪০)। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ওসমানীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শিশুটির মা জানান, স্কুলে আসা যাওয়ার পথে মেয়েকে দাঁড় করিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয় একই এলাকার গুনু মিয়ার পুত্র টমটম চালক বিল্লাল আহমদ। প্রায় প্রতিদিনই বিল্লাল এ ধরনের কাজ করে। কিন্তু ভয়ে শিশুটি তার বাবা মাকে কিছু বলে না। তবে গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশে একটি দোকানে যায় ওই শিশুটি। দোকান থেকে বাড়ি ফিরার পথে বিল্লাল ওই শিশুকে তার টমটমে তুলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এসময় তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে। মেয়েটি ভয়ে চিৎকার দিয়ে টমটম থেকে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে বিষয়টি খুলে বলে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে শিশুটির মা তার স্বামীকে এ বিষয়ে অবগত করলে রাত ১১টার দিকে টমটম চালক বিল্লালের বাড়িতে যান শিশুর বাবা। তখন তার উপর হামলা করেন বিল্লালসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় গত রোববার (২৮ এপ্রিল) শিশুটির পিতা ওসমানীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানা গেছে। তবে অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের রাউৎখাই গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ভিকটিম শিশু। প্রায় প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত এবং যৌন হয়রানি করে আসছিল একই গ্রামের গুনু মিয়ার পুত্র টমটম চালক বিল্লাল আহমদ (৪০)। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশে একটি দোকানে যায় ওই শিক্ষার্থী। দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিল্লাল ওই ছাত্রীকে তার টমটমে তুলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এসময় ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে। মেয়েটি ভয়ে চিৎকার দিয়ে টমটম থেকে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। মেয়ের মা শনিবার রাতে তার স্বামীকে অবগত করলে বিষয়টি জানতে রাত ১১টার দিকে টমটম চালক বিল্লালের বাড়িতে যান মেয়ের বাবা। সেখানে বিল্লালের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিল্লাল তার ছোট ভাই আলম আহমদ ও বোন মেয়ের পিতার উপর হামলা চালায়। ঘর থেকে ধারালো দা এনে বিল্লাল কোপ দিলে মেয়ের পিতার ডান হাতের একটি আঙুল কেটে যায়। স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বালাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

রোববার সকালে বিল্লাল আহমদসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে ওসমানীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পিতা। অভিযুক্তরা হলেন, বিল্লালের ছোট ভাই আলম আহমদ (৩৫) ও বোন (৫০)।

অভিযোগ পয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এই বিষয়ে নির্যাতিত শিশুর বাবা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমি এই বিষয়ে জানতে চাওয়ায় আমাকেও মেরে আহত করেছে বিল্লালসহ তার ভাই বোন। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এ ব্যাপারে ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন, এই বিষয়টি আমি জেনেছি। শিশুর বাবা এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে আমরা অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত