সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ জানুয়ারি, ২০১৬ ২০:০১

মুক্ত লক্ষ্মী প্যাঁচা ও ভুবন চিল!

কোন এক অলক্ষ্যে বাসা থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিল লক্ষ্মী প্যাঁচাটি। সেখানে পেয়ে ছোট্ট ছেলেরা তাদের খেলার বস্তু বানিয়েও ফেলেছিল। পায়ে সুতা দিয়ে বেধে টানাহেঁচড়া করে নিচ্ছে।

একটা জীবন্ত প্রাণীর এমন দুরবস্থা দেখে ছোট্ট ছেলেদের থামিয়ে প্যাঁচাটি উদ্ধার করেন দোকানি কায়েস। তা দেখে লিডিং ইউনিভার্সিটির ছাত্র প্রাধিকারের কামরুল ইসলাম যোগাযোগ করেন প্রাধিকারের পাবলিক রিলেশন সেক্রেটারি মনজুর কাদের চৌধুরীর সঙ্গে।

এরপর মনজুর ও প্রাধিকার কর্মী বিশ্বজিৎ দেব ছুটে যান প্যাঁচাটি উদ্ধার করতে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট জেলার সেক্রেটারি আব্দুল করিম কিম ও ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়কারী আশরাফুল কবিরদের সহযোগিতায় তা উদ্ধার করেন প্রাধিকার কর্মী মনজুর ও বিশ্বজিৎ।

টানা তিনদিন তার সেবা করে সুস্থ করেন আলমগীর কুমকুম।

এর এক সপ্তাহ আগে গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি ও ভূমিসন্তান বাংলাদেশের উদ্ধার করা একটি 'ভুবন চিল' সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আলমগীর কুমকুম সাহেবের সেবায় রাখা হয়।

উল্লেখ্য, চিলটির ডানায় গুলির ক্ষত ছিল।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) লক্ষ্মী প্যাঁচা ও ভুবন চিলটি অবমুক্ত করে দেয়া হয় । তারা মুক্ত আকাশে ফিরে যায় ।

উপস্থিত ছিলেন প্রাধিকার কর্মী মনজুর কাদের চৌধুরী, বিশ্বজিৎ দেব, বিনায়ক শর্মা, সাহরুল আলম উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট জেলা সেক্রেটারি আব্দুল করিম কিম, গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটির সুমিত চৌধুরী এবং আলমগীর কুমকুম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত