সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৮:২৬

যুবকদের মাদক থেকে না ফেরালে এদেশ গভীর সঙ্কটে পড়বে

সিলেটের চারদিক ঘিরে রয়েছে সীমান্ত এলাকা। আর সীমান্ত এলাকা ঘিরেই গড়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীচক্র। মরণ নেশা সীমান্ত অতিক্রম করেই ঢুকে পড়ে আমাদের এদেশে। এছাড়া স্থানীয়ভাবেও মাদক তৈরী হচ্ছে। আর এসব মাদক সেবন করে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে আমাদের তরুণ ও যুব সমাজ। তাদেরকে এখনই এ পথ থেকে ফেরাতে না পারলে এদেশ গভীর সঙ্কটে পড়বে। এখনই মাদককে না বলতে হবে। এই মরণ নেশা থেকে তাদেরকে ফেরাতে হবে। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচাররোধে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।

শনিবার সকালে মাদকবিরোধী ও প্রচারনা মাস উপলক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতর আয়োজিত বর্ণাঢ্য র‌্যালি পরবতী আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

মদনমোহন কলেজের শহীদ সোলেমান হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন আহমদ। মদনমোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহর সভাপতিত্বে শিক্ষক উজ্জল দাসের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাস উদ্দিন ভূইয়া, বিজিবি ৪১ ব্যটালিয়নের সিও লে: কর্নেল শাহ আলম চৌধুরী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেটের উপ পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুর রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক জাফর উল্লাহ কাজল, গ্রামীণ জনকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. জামিল চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আফতাব আহমদ, দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার ফয়সল আহমদ বাবলু প্রমুখ।

এর আগে বর্ন্যাঢ্য র‌্যালি লামাবাজার মদনমোহন কলেজ থেকে শুরু হয়ে চৌহাট্রা পয়েন্ট ঘুরে সেখানে ফিরে আসে। র‌্যালিতে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মাদকাসক্ত চিকিৎসা ও পুনবাসন কেন্দ্র এইম ইন লাইফ, প্রশান্তি, আদর, বাঁধনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। র‌্যালিতে বিশাল আকৃতির তিন হাতির মুখে টানানো ব্যানার সকলের দৃষ্টি কাড়ে। এতে লেখা ছিল নেশা ছেড়ে কলম ধরি, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি। র‌্যালিতে অংশ গ্রহনকারীদের সাধূবাদ জানান সড়কের পাশে থাকা পথচারী ও ব্যবসায়ীরা।

আলোচনা সভায় বক্তারা আরো বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতুর মতো বিশাল সেতু নির্মানের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা মেট্টোরেল করছি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের যে সাফল্যের পতাকা সেটা বিশ্বের মধ্যে পথপথ করে উড়ানোর সাহস দেখাচ্ছি। অন্য দিকে যদি, আমাদের আরেকটি দৃশ্যে চোখ রাখি,তাহলে দেখব যুবসমাজের একটি অংশ মাদকের করালগ্রাসে ধুকছে, মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে অনেকটা অসহাত্বে মধ্যে মাদক গ্রহন করছে। পরিবার, সমাজ ও রাস্ট্রকে পঙ্গু করছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার অনেকদিন ধরেই মাদকের বিরুদ্ধে স্পষ্ট যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

বক্তরা বলেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে এই যুদ্ধ আমরা অনেকই কমবেশী সকলেই অবগত হয়েছি। কিন্তু তারপরও সাফল্য আমাদের কাঙ্খিত পর্যায়ে উপনিত হচ্ছেনা।

বক্তারা বলেন, সাফল্য সুত্র হচ্ছে আমরা ৭১ সালে বিশাল একটি সামরিক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীন করেছিলাম। সবার অংশগ্রহনের মাধ্যমেই আমরা আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম। বর্তমানে নতুন করে আমাদেরকে এই যুদ্ধে সেই ভাবেই আমাদের সবার ঝাপিয়ে পড়তে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত