নূরুল মোহাইমীন মিল্টন, কমলগঞ্জ

১৬ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ২১:২৭

কমলগঞ্জে টমেটোর বাম্পার ফলন

সংরক্ষাণাগার না থাকায় লাভবান হচ্ছেন না চাষিরা

আউশ, আমন, বোরো ও রবিশস্য উৎপাদনে সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা খাদ্য যোগানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। চলতি রবি মওসুমে টমেটোরও ব্যাপক চাষাবাদ এবং ফলনও বাম্পার হয়েছে। টমেটো, বেগুন, আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপির চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি নেই। কিন্তু উৎপাদনের পর দাম ভালো না থাকায় অনেকেই লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না। কৃষি অধ্যূষিত এই উপজেলায় একটি সংরক্ষাণাগার স্থাপিত হলে চাষি পর্যায়ে এই সমস্যা কাটিয়ে অধিকতর লাভবান ও কৃষি উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।
    কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মওসুমে এ পর্যন্ত ২৫০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। শীত মৌসুম আসার আগেই ৫০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে গ্রাফটিং টমেটোর চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়াও বেগুন, ফুল কপি, বাঁধা কপি, আলু ও শীতকালীন শাকসবজির ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে। উপজেলার আদমপুর, মাধবপুর ও আলীনগর ইউনিয়নে সরিষার আবাদও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষক ব্রজেন্দ্র মোহন সিংহ, আব্দুল মছব্বির, শেলু মিয়া বলেন, ইতিমধ্যে যারা টমেটো বাজারজাত করছেন তারা কিছুটা লাভবান হচ্ছেন। তাছাড়া কিছুদিন পর যারা টমেটো বাজারজাত করবেন তারা সেভাবে লাভবান হতে পারবেন না। গাছে গাছে এখন টমেটো, বেগুন ধরতে শুরু করেছে। সেগুলো বাজারে তোলার পর দাম কমে যাবে। কৃষকরা বলেন, টমেটো, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধা কপি, সরিষা সহ শীতকালীন সকল শাক-সবজির চাষাবাদ বাড়ছে। কিন্তু সেভাবে লাভবান হতে পারছেন না কৃষকরা। এই উপজেলায় একটি সংরক্ষণাগার থাকলে সেখানে রেখেও যথেষ্ট লাভবান হওয়ার সুযোগ ছিল বলে তারা মন্তব্য করেন। অন্যদিকে সরিষার আবাদ কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সরিষা প্রক্রিয়াজাতকরণে একটি কারখানা থাকলে চাষীদের জন্য অধিকতর সুবিধা বয়ে আনতো। খাদ্য যোগানে এই অঞ্চলে অধিকতর কৃষি উৎপাদনে সংরক্ষণাগার, সরিষার কারখানা স্থাপনের দাবি জানান কৃষকরা।
    কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দীন আহমদ বলেন, কমলগঞ্জে টমেটোর ভালো চাষাবাদ ও উৎপাদন হচ্ছে। তবে এখানে একটি হিমাগার বা সংরক্ষণাগার থাকলে সেটি কৃষকদের জন্য আরও ভালো হতো এবং কৃষকরা বিপুল উৎসাহ নিয়ে কৃষিতে অধিকতর মনোযোগী হতেন।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত