সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ মার্চ, ২০১৬ ১৮:০১

তনু হত্যার আলামত নষ্ট নিয়ে প্রশ্ন মিজানুরের

কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর হত্যার সাক্ষ্য প্রমাণ টেম্পারিং করার চেষ্টা হয়ে থাকলে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।

একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘বিচার প্রক্রিয়ার বিধি লঙ্ঘন করে নিহত তনুর পরিবারকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে এনে মানসিক ভাবে হয়রানি করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা সেনানিবাসে কলেজছাত্রী তনুর লাশ পাওয়ার স্থান পরিদর্শন শেষে দুপুরে সার্কিট হাউজে সংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে ড. মিজানুর নিহত তনুর বাবা-মা ও সেনাকর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শেষে কুমিল্লা সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের কাছে তার পর্যবেক্ষেণ তুলে ধরেন।

কলেজছাত্রী তনু হত্যার ন্যায় বিচারের স্বার্থে ড. মিজানুর রহমান তিনটি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। দ্বিতীয় ময়না তদন্তের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিহত তনুর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রভাবিত করার অপচেষ্টা যদি করা হয়ে থাকে তাহলে যারা এটি করেছে বা সাহযোগী রয়েছে তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনা বাঞ্ছনীয়।’

পরিবারের অনুপস্থিতিতে তনুর ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া, ডিসলাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যরাতে র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে মানসিক নির্যাতন করার প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জবাবদিহিতা চাইবেন বলেও জানান ড. মিজানুর।

প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখে তনুর পরিবার মানবাধিকার কমিশনকে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছে। তিনি তাদের নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন বলেও জানান।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরো বলেছেন, ‘তনুর মরদেহ যেখানে পড়েছিল, সে জায়গাটি পরিষ্কার করা হয়েছে। এটি অস্বাভাবিক। তাদের কাছে থাকা প্রথম ছবিতে ওই স্থানে ঘাস ও ছোট গাছ ছিল। কিন্তু পরে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে জায়গাটি পরিষ্কার করা হয়েছে। প্রকৃত অবস্থার এই পরিবর্তন কাম্য নয়। সাক্ষ্য আইন অনুযায়ীও সেটি কাঙ্ক্ষিত নয়।’

তনুর লাশ পড়ে থাকা স্থান পরিদর্শন শেষে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলামত নষ্ট হতে পারে। এটি বিচারকে ভিন্ন খাতে নিতে পারে, বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এটি ঘটে থাকলে যারা এমনটা করেছেন তাদেরও বিচারের আওতায় আনা দরকার।’

তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত সম্পর্কে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, কেন দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। কমিশন মনে করে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন ছিল। কেননা প্রথমবারে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত