উত্তম কাব্য

০২ মে, ২০১৬ ২২:০৮

জগন্নাথপুরের দয়ালনগর গ্রাম : ‘ভোট এলেই দেখা মিলে প্রার্থীদের’

জগন্নাথপুর উপজেলার ৯ নং পাইলগাঁও ইউনিয়নের দয়ালনগর গ্রাম। র্দীঘদিন ধরে অবহেলা আর দূর্ভোগে দিন কাটছে এই অঞ্চলের মানুষ। গ্রামে নেই কোনো বিদ্যালয়, নেই কোনো রাস্তাঘাট, নেই বিদ্যুৎও।

প্রতি পাঁচ বছর পরপর এই অঞ্চলেই নির্বাচন আসে। নির্বাচন এলেই প্রার্থী ছুটেন ভোটারদের কাছে। এলাকার মানুষজনও দাঁড়ান ভোটের লাইনে। তবে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করলেও এই এলাকার তেমন কোনো উন্নয়ন হয় না। ভোটের পর আর দেখা যায় না নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের- এমনটিই অভিযোগ দয়ালনগর গ্রামবাসীর।

জানা যায়, হাওর অঞ্চল হওয়ায় বছরের এই গ্রাম অর্ধেক সময় পানিতেই ডুবে থাকে। গ্রামে কোনো বিদ্যালয় না থাকায় পাশের গ্রামে প্রায় ২ কিলোমিটার জায়গা নদীপথে যেতে হয় ছেলেমেয়েদের। পুরো গ্রামেই নেই কোনো রাস্তাও। হেমন্তে পায়ে হেঁটে আর বর্ষায় নৌকা করে চলাচল করতে হয় গ্রামবাসীকে।

গ্রামের দুর্দশার কথা জানিয়ে স্থানীয় তেরাউতিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব বলেন, দয়ালনগর গ্রাম সত্যিই অবহেলিত। এ গ্রামের ছেলেমেয়েরা  অনেক কষ্টে পাশের গ্রামে গিয়ে পড়ালেখা করছে। অনেক প্রতিশ্রুতি পেলেও এই এলাকায় কোনো রকম উন্নয়ন হচ্ছে না।

পাইলগাঁও ইউপি যুবলীগ নেতা রুনু মিয়া জানান,তাদের গ্রামে বিগত দিনে কোনো উন্নয়ন হয়নি। রাস্তাঘাট, স্কুল না থাকার ফলে মানুষ  অনেক কষ্টে আছে। কিছুটা উন্নয়ন হলে গ্রামটা পিছিয়ে থাকত না।
    
মাখরকোণা মডেল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো: ইমন তালুকদার বলেন, দয়ালনগর গ্রামে বিগত দিনে কোনো রকম উন্নয়ন হয়নি। অথচ গ্রামের মানুষই প্রতি ইউপি নির্বাচনে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। কিন্তু ভোটের সময়ই চেয়ারম্যানকে দেখা যায় পরে আর তাকে পাওয়া যায় না।

তিনি আরো বলেন, গ্রামে বিদ্যুত নেই তাই গ্রামের স্থানীয় মানুষরা মিলে বিদ্যুৎ আনার চেষ্টা করছেন এতে চেয়ারম্যান কোনো সাহায্য করছেন না তাদের।

এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দীনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত