ছাতক প্রতিনিধি

২৫ আগস্ট, ২০১৬ ১৮:১৯

ছাতকে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের সেনপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কলেজ ছাত্র রিমন আহমদের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে সিলেট এম. এ. জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত রিমন জাউয়া বাজার ডিগ্রি কলেজের ব্যবসা শিক্ষা শাখার একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বয়স ১৯ বছর।

নিহতের পিতা রইছ উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিজ গ্রামের আবদুস সাত্তারের বাড়ির সামনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার উপর হামলা চালানো হয়। হামলার নেতৃত্বে ছিলেন আবদুস সোবহান, আবদুল কাহার, আবদুস সাত্তার, ফারুক আহমদ কালা, জামিল আহমদ কুটি ও সাদিক।

এসময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে রিমন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সিলেট এম. এ. জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিমন মারা যান। বিকেলে রিমনের গ্রামের বাড়িতে সেনপুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।

রইছ উদ্দিন আরো জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধে বছর খানেক আগে প্রতিপক্ষ আবদুস সোবহানদের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়েছিল। সেসময় উভয়পক্ষের অনেকে আহত হয়েছিলেন। এরপর থেকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মছব্বির চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। তবে প্রতিপক্ষ বিষয়টি শেষ না করে তার ছেলের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যা করে।

দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মছব্বির জানান, এলাকাবাসী নিয়ে মীমাংসার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলাম। সে সময় আবদুস সোবহান জমির মালিকানা বিষয়ে কোনো ধরনের কাগজ উপস্থাপন করতে পারেননি। পরে তারা বিচার না মেনে চলে যান। এরপর থেকে আর বিষয়টি শেষ করা যায়নি।

এ ঘটনায় আবদুস সোবহানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে হামলা নয় সংঘর্ষে রিমন আহত হয়েছিল জানিয়ে ছাতক থানার ওসি আশেক সুজা মামুন বলেন, মঙ্গলবার জমি সংক্রান্ত বিরোধে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রিমন আহত হয়। আজ সকালে ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি। নিহতের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়াও সেনপুর গ্রামে পুলিশের একটি দল উপস্থিত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত