নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ অক্টোবর, ২০১৬ ১৭:০৯

স্কুলছাত্র ইমন হত্যা মামলার শুনানী, জামিন পাননি কারাবন্দি আসামীরা

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার স্কুলছাত্র ইমন হত্যা মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানী সোমবার সিলেট দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুনানী শেষে ট্রা্ইব্যুনালের বিচারক মকবুল হোসেন কারাগারে থাকা তিন আসামী জামায়াত নেতা ও মসজিদের ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজন, জায়েদ ও রফিকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং মামলার পরিবর্তী তারিখ আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন।

আগামী শুনানীর দিন মামলার চার্জ গঠন করা হবে বলে জানিয়ে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর কিশোর কুমার কর জানান, মামলাটি খুবই চাঞ্চল্যকর। শিশু ইমনকে মুক্তিপণ পাওয়ার পর বিষ খাইয়ে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে লুকিয়ে রাখা হয়। শুনানীর সময় জামিনে থাকা আসামীদের জামিন বাতিল নিয়েও আলোচনা হয়, এসময় জামিনে থাকা অপর আসামী বাচ্চু, কাহার ও নুরুল আমিনও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনীর ছাত্র ছিল ইমন। ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ তাকে অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপনের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে।

৮ এপ্রিল মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে কদমতলী বাসষ্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। এমনকি বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত ইমনের বাবা জহুর আলী বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছাতক থানায় মামলা (নং-৩২) করেন। চলতি বছরের ২১ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইবুনালে প্রেরণের জন্য গেজেট প্রকাশ করে। ফলে ১৯ সেপ্টেম্বর থকেই দ্রুত ট্রাইব্যুনালে মামলাটির কার্যক্রম শুরু হয়। ওইদিন ৭ আসামীর মধ্যে গ্রেফতারকৃত ৬ জনকে প্রথমবারের মতো ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত