ছাতক প্রতিনিধি

০৯ অক্টোবর, ২০১৬ ১৫:৪৪

বিষাক্ত ছত্রাককে গায়েবী হাত বলে ভণ্ডামি, গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ

ছাতকের সিংচাপইড় গ্রামে একটি ঘরের মধ্যে মানব হাতের আকৃতির ছত্রাককে গায়েবী হাত বলে গুজব ছড়িয়ে ৩ দিন থেকে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।

শুক্রবার গৃহকর্তা আব্দুল হান্নানের স্ত্রী জয়ফুল লুকিয়ে রাখা ছত্রাকটি জনসমক্ষে প্রকাশ করলে রোববার পর্যন্ত সর্বত্র এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। মানব হাতের আকৃতি থাকায় ছত্রাকের উপর হাজার হাজার টাকা দান করে লোকজন।

জানা যায়, আব্দুল হান্নানের বসত ঘরে একটি বাঁশের খুটির গুড়ায় ৩-৪মাস পূর্ব থেকে একটি ছত্রাকের জন্ম নেয়। ধীরে ধীরে বিষাক্ত ছত্রাকটি ডাল-পালা দিয়ে মানব হাতাকৃতি ধারণ করলে তার স্ত্রী জয়ফুল গায়েবী হাতের জন্ম হয়েছে বলে এটিকে ঢেকে রাখেন। শুক্রবার তার ঘরে গায়েবী হাতের জন্ম হয়েছে বলে প্রচার করলে সিংচাপইড় ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বদরুল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন সাহেলকে বিষয়টি জানান।

সকাল থেকে দর্শনার্থীরা এসে কথিত গায়েবী হতের উপর হাজার হাজার টাকা দান করেন। পরে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামানকে জানালে তিনি উপজেলা কৃষি অফিসার আসিফ হোসেন ও আনিছুর রহমানসহ ৩ জন ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। এতে তারা এলাকা পরিদর্শন করে একটি লিখিত রিপোর্টে বলেন, এটি বন্য জাতীয় ক্ষতিকর ছত্রাক। এটিকে পূঁজি করে ধর্মীয় কোন অপপ্রচার ও ভণ্ডামি করার কোন অবকাশ নেই। এটি কথিত গায়েবী হাত নয় বরং বিষাক্ত ছত্রাক বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন তারা।

এর আগে জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর এস.আই শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছত্রাকটি ভেঙ্গে দেন।

এ ব্যাপারে নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন সাহেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত