নিজস্ব প্রতিবেদক

০৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ২২:৪৬

পটকা মাছ খেয়ে জৈন্তাপুরের আরো দশজন অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি

সিলেটের জৈন্তাপুরে পটকা মাছ খেয়ে খেয়ে বিষক্রিয়ায় পাঁচজনের মৃত্যুতে দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যে আরো দশজনের অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নতুন করে অসুস্থ হওয়া এই দশজনকে নগরীর ওয়েসিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জৈন্তাপুরের দরবস্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পটকা মাছ খেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়নের ঘরদনা গ্রামের ১০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে নগরীর বেসরকারী ওয়েসিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জৈন্তাপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পটকা মাছ খেয়ে অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাদের যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
 
এদিকে, বুধবার দুপুরে পটকার বিষক্রিয়ায় ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জৈন্তাপুর উপজেলার দুই শিশুসহ ৫ জন। এই উপজেলার আরো অন্তত ১২ জন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওসমানীতে চিকিৎসাধীন আছেন।

ওসমানী হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘‘পটকা মাছে টেট্রাটডক্সিন নামে এক ধরনের বিষ থাকে যা কোন ওষুধে উপশম হয় না। এ ধরনের বিষক্রিয়ায় আক্রান্তদের ব্রেনের নার্ভাস সিস্টেম দুর্বল করে দেয়। শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে দ্রুত মারা যায় রোগীরা।’

সিলেটের বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র বাসিন্দারা পটকা মাছ হিসেবে খেলেও এটি কোনো মাছ নয় বলে জানিয়েছেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, পটকা কোনো মাছ নয়। এটি বিষযুক্ত একটি জলজপ্রাণী। পটকার কানের কাছে গ্রন্থিতে বিষ থাকে। পটকা খেলে বিষক্রিয়া হতেই পারে। এটি খেলে কেউ মারাও যেতে পারে।

ওসমানী মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুস সবুর মিয়া বলেন, যারা অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাদের জন্য হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এনায়েত হোসেনকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। অসুস্থদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান পরিচালক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত