নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১২:৫০

সিলেটে প্রাণঘাতী পটকা মাছ বিক্রি বন্ধে অভিযানে নেমেছে প্রশাসন

গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সিলেটের জৈন্তাপুরে পটকা মাছ খেয়ে বিষক্রিয়ায় ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় চলছে তোলপাড়। ওই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১১ জন। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে প্রশাসনও।

সিলেটের কোথাও যেন বিষাক্ত পটকা মাছ বিক্রয় ও বিতরণ করা না হয়- এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে প্রশাসন। বিভিন্ন বাজারে পটকা মাছ বিরোধী অভিযানে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে পটকা মাছ না খাওয়ার জন্য। সিলেটের বিভিন্ন থানায়ও দেয়া হয়েছে পটকা বিরোধী অভিযান পরিচালনার নির্দেশ।

এ ব্যাপারে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো: জামাল উদ্দীন আহমেদ সিলেটটুডে টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "পটকা মাছ বিক্রয় ও বিতরণ বন্ধে সিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং ও বিভিন্নভাবে ক্যাম্পেইন পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।"

সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) জয়নাল আবেদিন বলেন, "ইতোমধ্যেই সিলেট জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পটকা বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।"

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) জৈন্তাপুরে বিষাক্ত পটকা মাছ খেয়ে বিষক্রিয়ায় ৫ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১২ জনের মধ্যে আরও একজন পরদিন মারা যান। এ ঘটনার পর থেকেই পটকা মাছ নিয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সিলেটের বাজারগুলোতে প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় পটকা। গ্রামাঞ্চলেই এর বিক্রি সবচেয়ে বেশি। অপেক্ষাকৃত কম দামে পাওয়া যায় বলে দরিদ্র পরিবারগুলোতে এর চাহিদাও রয়েছে। মাছের বিকল্প হিসেবে এই পটকা খাওয়া হয়। সিলেট অঞ্চলে পটকাকে ফুটকোনা বা ফুটকা নামে ডাকা হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানান, পটকা কোনভাবেই খাওয়া উচিত নয়। পটকার মধ্যে "টেকটাডোটক্সিন" নামক এক ধরণের বিষ থাকে। একটি পূর্ণাঙ্গ পটকা মাছের বিষে ৩০ জন মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত