নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ মার্চ, ২০১৭ ১৪:১৫

মৌলভীবাজারেও প্রাণ-আরএফএল এর কর্মকর্তা পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেয় ‘জঙ্গিরা’

মৌলভীবাজারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঘিরে রাখা দুটি বাড়ির মধ্যে টিনশেড বাড়িটি দুই মাস আগে প্রাণ-আরএফএল’র ম্যানেজার পরিচয়ে ভাড়া নেন বেলাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। এর আগে সিলেটের শিববাড়িতে জঙ্গি আস্তানা 'আতিয়া মহল' ভাড়া নেবার সময়ও একই পরিচয় দিয়েছিল জঙ্গিরা।

বুধবার (২৯ মার্চ) বাড়িটির কেয়ারটেকার জুয়েল মিয়া (৩৫) এ তথ্য জানিয়েছেন।

জুয়েল জানান, লন্ডন প্রবাসী সাইফুল রহমানের নাসিরপুরের টিনশেড পাকা বাড়িটি প্রাণ-আরএফএলের ম্যানেজার পরিচয়ে মাসিক ৬ হাজার ৬০০ টাকা ভাড়া নেন বেলাল আহমেদ। এ বাড়িতে বেলাল, তার স্ত্রী ও শ্যালক থাকতেন। তারা তিনজন খুব ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন এবং রাতে বাড়ি ফিরতেন।

জুয়েল আরো জানান, বরহাটের নির্মাণাধীন তিনতলা বাড়িটি তিন মাস আগে প্রাণ-আরএফএল’র ম্যানেজার পরিচয়ে মাসিক ৭ হাজার ২০০ টাকায় ভাড়া নেন মাহফুজ নামে আরেক ব্যক্তি। পুরো বাসায় থাকতেন মাহফুজ, তার চার সন্তান, স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ীসহ ৮ জন।

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা ওই বাড়ি দুটিতে মোট ১১ জন জঙ্গি অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার রওশনুজ্জামান সিদ্দিকী।

তিনি জানান, দুটি আস্তানায় অবস্থান করা ১১ জঙ্গিকে জীবিত আটকের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) গভীর রাত থেকে শহরের বড়হাট ও সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজারের কাছে নাসিরপুর গ্রামের ওই দুটি জঙ্গি আস্তানা ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। বড়হাটের আস্তানাটি একটি ডুপ্লেক্স বাড়িতে, আর নাসিরপুরের আস্তানাটি একটি একতলা বাড়িতে। দুটি বাড়িই লন্ডন প্রবাসী সাইফুল রহমানের মালিকানাধীন।

এদিকে, বুধবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যেও দু’টি জঙ্গি আস্তানায় বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। সাড়ে ১০টার দিকে বড়হাটের ‍আস্তানার ভেতরে বিকট শব্দে তিনটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত