জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, বিশ্বনাথ

০২ এপ্রিল, ২০১৭ ২০:৩৯

বিশ্বনাথে তলিয়ে গেছে ব্যাপক ফসল, ঝড়ে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা

চৈত্রের টানা ৪ দিনের বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল আর ঝড়-তুফানে সিলেটের বিশ্বনাথে ৩৩টি হাওর ও ৩টি বিলের প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। সেই সাথে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

উপজেলার পুরানগাঁও, ইলামের গাঁও, গড়গাঁও, বৈরাগীগাঁওসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের লোকজন অন্ধকারে থাকার পাশাপাশি কৃষকরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের লাইন মেরামতের কাজ চলছে জানিয়ে বিশ্বনাথ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজিএম নাজমুল হাসান বলেন, পুরানগাঁও, বৈরাগী বাজার এলাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ঝড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। তাই ওই সকল এলাকা বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৪৩টি হাওর ও ৭টি বিলে চলতি বছর ৭ হাজার ২শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়। এর মধ্যে ৩৩টি হাওর ও ৩টি বিলের প্রায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হাওড়গুলির মধ্যে চালধনী হাওড়ে ৬০০, নইলের হাওড়ে ২০০, জুল্লাইর হাওড়ে ১৫০, নোয়াবিল হাওড়ে ১৫০, বেলার হাওড়ে ১৫০, চাতলার হাওড়ে ১০০, নয়াবন্ধর হাওড়ে ৪০, বন্ধুয়ার হাওড়ে ৫, বাওনপুর হাওড়ে ৩০, পুটিকাটা হাওড়ে ১০, চাঁন্দভরাং হাওড়ে ১০, ভোলাগঞ্জ হাওড়ে ৩০, বিলবন্ধ হাওড়ে ৪০, জামাইকাটা হাওড়ে ৩০, বাইয়াবিল হাওড়ে ১৪, কালাবন্দ হাওড়ে ৭০, করছাইর হাওড়ে ৪০, মান্দাবাজ হাওড়ে ৭০, সৎপুরের হাওড়ে ৫০, দেওকলসের হাওড়ে ৭০, হাকুড়পুরের হাওড়ে ৪৫, মান্দাই হাওড়ে ২০, কারিকোনা হাওড়ে ৫০, সিরাজপুর হাওড়ে ১০, রজকপুর হাওড়ে ১৫, টুকেরকান্দি হাওড়ে ২০, কানাইকুর বিলে ১০, বাসিকোলার বন্দে ৭, জাঙ্গাইলগরিতে ২০, পূর্ব জানাইয়াতে ২০, উত্তর মসুলায় ১০, মিরেরচরে ১২, কান্দির হাওড়ে ৫০, তেরাচাপা বিলে ৭৮, গোয়াহরিতে ২০ এবং দুবাগ বিলে ২৫ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলীনুর রহমান ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনোজকান্তি দেবনাথ জানান, আড়াই হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত