জগন্নাথপুর প্রতিনিধি

১৬ আগস্ট, ২০১৭ ০০:৩৯

জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙন অব্যাহত, দুর্ভোগ চরমে

জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ফলে জগন্নাথপুর-কাতিয়া-বেগমপুর সড়কে সরাসরি যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে নদীর পাশে থাকা ঘরবাড়ি রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাগময়না গ্রাম হয়ে রাণীগঞ্জ বাজার হতে হলিকোনা বাজারের যাতায়াতের রাস্তাও কুশিয়ারা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জগন্নাথপুর-কাতিয়া-বেগমপুরে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী অধিদপ্তর সড়কের জালালপুর (ভাঙাবাড়ি) এলাকার রাস্তা নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে।

নদী ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্টদের কোনও ধরনের পদক্ষেপ নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা জাবেদুর রশীদ। তিনি বলেন, আমরা ছোট বেলা থেকে ওই স্থান ভেঙে যেতে দেখেছি। এখানকার লোকজন হারিয়েছেন তাদের বসত ভিটা, মসজিদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) রফিকুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙন বার বার হচ্ছে। ফলে কোনও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আগামীতে স্থায়ীভাবে নতুন স্থান খুঁজে রাস্তা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি।

এদিকে, উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে বাগময়না গ্রামের ভেতর দিয়ে রাণীগঞ্জ বাজার হতে হলিকোনা বাজারের প্রতিদিন যাতায়াত করেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার লোক। ওই সড়কের বাগময়নাস্থ সাবেক চেয়ারম্যান মজলুল হকের বাড়ির সামনে কুশিয়ারা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই চেয়ারম্যানের তিনটি বাড়িসহ জায়গা জমি কুশিয়ারা গর্ভে তলিয়ে গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে হাজারো লোকজন যাতায়াত করে আসছেন। ইতিমধ্যে ওই রাস্তা দিয়ে সকল ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী লোকজনদের। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করা হলেও কোন কাজে আসছে না বলে জানিয়েছেন তারা।

এব্যাপারে রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানা বলেন, আমাদের নজরে আছে রাস্তাটি। আগামীতে বরাদ্দ আসলে কাজ করানো হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত