শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

৩১ আগস্ট, ২০১৭ ১৭:৪৪

শ্রীমঙ্গলে ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কামার সম্প্রদায়ের ব্যস্ততা

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রীমঙ্গলের কামাররা। দিনরাত সমান তালে তারা এখন হাসুয়া, ছুরি, চাপাতি,দা,বটি তৈরী ও শান দেওয়ার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।

শ্রীমঙ্গের বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। অনেকের হাতে বেশি অর্ডার থাকায় নতুন কোন অর্ডারও নিচ্ছেন না। সারা বছর কাজ না থাকলেও কোরবানীর ঈদের এ সময়টা বরাবরই ব্যাস্ত থাকতে হয় তাদের।

পশু জবাইর সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন ভীড় করছেন তাদের দোকানে। কামারের দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন পশু জবাইয়ের উপকরণ। প্রতি বছর কোরবানির ঈদ উপলক্ষে হাসুয়া, দা, ছুরি, চাপাতি, ও ধামার ব্যাপক চাহিদা বাড়ে যায়।

আলিসারকুল গ্রামের চুরামনি কর্মকার জানান, সারা বছর কাজ খুব কম থাকে কোরবানি এলে কাজ বেড়ে যায়। বর্তমানে ছোট ছুরি থেকে শুরু করে বড় ছুরি ও ধামার সান দেয়ার জন্য ৩০ টাকা থেকে শুরুকরে কাজের গুণাগুণের ভিত্তি করে ৭০ থেকে ৯০টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিটি দা বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ টাকা, হাসুয়া ১৫০টাকা, ছোট ছুরি ৫০টাকা, বটি ২০০শ’ টাকা, চাপাতি ২৫০-৩০০ টাকা করে। মিরপুর উপজেলার সদরপুর গ্রামের আবদুল্লাহ কামার বলেন, সারা বছর আমাদের মোটামুটি বিক্রি হয়। তবে এই সময় বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। তবে উৎপাদন ও প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় লাভ আগের চেয়ে কম।

পশু জবাইয়ের ছুরি কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, কোরবানীর ঈদের আর মাত্র কয়েদিন বাকী তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কিনার কাজটি সেরে ফেলছেন। তবে অন্যান বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, চাপাতির দাম একটু বেশী বলে জানান তারা। লোহার পাশাপাশি এদিকে স্টিলের ছুরি চাকুও লোকজনকে আকৃষ্ট করছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত