জাহিদ উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ থেকে

২৯ নভেম্বর, ২০১৭ ২২:২৩

গোলাপগঞ্জ কাঁচাবাজারের পার্শ্ববর্তী একাংশ নদীগর্ভে, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা

সিলেটের গোলাপগঞ্জের সুরমা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। এরই প্রভাবে উপজেলার পৌর সদরের ভিতরের বাজারের পাশের একটি বিশাল অংশ সুরমা নদীতে তলিয়ে গেছে।

এছাড়াও বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে পার্শ্ববর্তী আরেকটি স্থানে দেখা দিয়েছে বিরাট একটি ফাটল। যে কোন সময় ওই অংশটিও নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নদী তীরবর্তী কয়েকটি কলোনি, মসজিদ ও বাজার।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ঝুঁকির মধ্যে পরেছে স্থানীয় কাঁচাবাজার সহ নদী তীরবর্তী এলাকাবাসী। বুধবার রাতে কাঁচাবাজারের পাশে হঠাৎ করে বিরাট একটি অংশ কয়েকটি গাছসহ সুরমা নদী গর্ভে চলে যায়।

তলিয়ে যাওয়া ভূমির মালিক স্থানীয় ব্যবসায়ী শামছুল ইসলাম মন্টু মিয়া জানান, এ নদীগর্ভে আমার ১৫ শতক জায়গা বুধবার সকালে নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। তিনি এই ক্ষতির জন্য অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের দায়ী করে বলেন, নদীর পার্শ্ববর্তী আমার একটি কলোনিও আছে যা রয়েছে চরম ঝুঁকির মধ্যে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোলাপগঞ্জ বাজার মসজিদের বড় একটি অংশ, কাঁচাবাজারের বড় একটি অংশ, এমসি একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের দুটি ভবন, সরস্বতী গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর, রানাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সীমানা প্রাচীর, বাঘা মাদ্রাসার একাংশ, বাঘার রুস্তমপুর এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি, বাঘা লালনগরের শতাধিক ঘরবাড়ী নদীভাঙ্গনের কারণে রয়েছে চরম ঝুঁকির মধ্যে।

গোলাপগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী হারুন আহমদ জানান, কাঁচাবাজারের নিকটবর্তী সুরমা নদীরভাঙ্গন চরম আকার ধারণ করায় ব্যবসায়ীরা রয়েছে আতঙ্কের মধ্যে। নদীভাঙ্গন রোধে এখনি ব্যবস্থা না নিলে কাঁচাবাজারটির অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, নদীভাঙ্গনের বিষয়টি আমি অবগত নই। কালকেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলেও জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত