সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৩:৩০

বিশ্ব এইডস দিবস : সিলেটে আক্রান্ত ৮৩৪ জন

আজ ১ ডিসেম্বর সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব এইডস দিবস। সভা, সেমিনার, র‍্যালি, নাটক-চলচ্চিত্র প্রদর্শন সহ নানা আয়োজনে মানুষকে এই মরণব্যাধি সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

কিন্তু এসব উদ্যোগের পরও বিগত বছরগুলোতে সিলেটে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে এইচআইভি ভাইরাস ও এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা। সিলেট বিভাগের চার জেলায় এইচআইভি ভাইরাস ও এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৮৩৪ জন এবং আক্রান্ত হয়ে গত এক বছরে মারা গেছেন ৩১ জন।

সিলেট বিভাগে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ও এইডস রোগীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা আশার আলো সোসাইটি একটি জরিপের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে।

আশার আলো সোসাইটি জানায়, ২০০৩ সালে সিলেটে এইচআইভি ভাইরাস ও এইডস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ জন।  আর চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩৪ জনে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৩৭ জন, যার মধ্যে পুরুষ ২৬৪ জন, মহিলা ৫৭ জন, শিশু ১৫ জন ও হিজড়া ১ জন।

আশার আলোর সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, গত ১৪ বছরে সিলেট জেলায় ৫৪৬ জন, মৌলভীবাজারে ১৫০ জন, সুনামগঞ্জে ১০৫ জন, হবিগঞ্জে ৩৩ জন এইচআইভি ভাইরাস ও এইডস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেটের ৫৪৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৫১৫ জন, মহিলা ২৫৭ জন, শিশু ২৯ জন ও হিজড়া ৪ জন।

জানা যায়, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত সিলেটে নতুন এইডস জীবাণু ধরা পড়ে ৪৬ জনের শরীরে। এর মধ্যে পুরুষ ২৬, মহিলা ১৯ জন ও হিজড়া ১ জন। গত এক বছরে এ অঞ্চলে এইচআইভি ভাইরাস ও এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩১ জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন, মহিলা ৫ জন ও শিশু একজন।

আশার আলো সোসাইটির সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক মো. আব্দুর রহমান জানান, যেসব শ্রমিক বিদেশে কাজ করতে যান, তাদের এইচআইভি ভাইরাস ও এইডস সম্পর্কে কোনও ধারণা থাকে না। যে কারণে তারা বিদেশে গিয়ে অবাধে মেলামেশা করেন এবং এ রোগে আক্রান্ত হন। এক পর্যায়ে এই শ্রমিকরা দেশে আসেন, কিন্তু এইচআইভি ভাইরাস ও এইডসে আক্রান্ত হওয়ার কথা চেপে যান। যার জন্য ওই শ্রমিকদের স্ত্রীরাও এ রোগে আক্রান্ত হন। পরবর্তী সময়ে তাদের সন্তানরাও আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর এ বিভাগে গড়ে ৫০ জন মানুষের দেহে এইচআইভি-এর জীবাণু ধরা পড়ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত