সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৯:১৮

সড়কের উপর দালানের সানসেট তৈরী, চলাচলে ঝুঁকি

সিলেট নগরীর চারাদিঘিরপাড়ে বসতবাড়ির চলাচলের রাস্তার উপর বাসার সানসেট নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিল্ডিং কোড না মেনে রাস্তার আকাশসীমা দখল করে ওই সানসেট তৈরী করায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন তারা। ফলে যে কোনো মূহুর্তে বর্ধিত আকারের ওই সানসেট ভেঙ্গে যাওয়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে চারাদিঘিরপাড়ের মজলিস আমিন-১১ নম্বর বাসার মালিক আব্দুল মান্নান খান সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবরে আবেদন করেছেন। পাশাপাশি তিনি কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়রিও করেন। বুধবার থানা পুলিশ সানসেটের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে সিটি করপোশেনও নিষেধ করে। কিন্তু ওই বাসার মালিক রাসেলসহ অন্যরা সানসেট নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখছেন বলে অভিযোগ উঠে।  

ওই বাসার মালিক আব্দুল মান্নান খান গত ১১ জানুয়ারি সিটি করপোরেশনেরর মেয়রের কাছে বিল্ডিং কোড না মেনে দালানের বর্ধিত আকারের সানসেট নির্মাণ কাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়ে আবেদন করেন। যার স্মারক নং-১৮৮। পরে গত ২২ জানুয়ারি কোতোয়ালী থানায় জিডি করেন (নং-১৮৩১)। আবেদন ও জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, পার্শবর্তী বাসার বাসিন্দা বাদশা মিয়া ও রাসেলসহ অন্যরা তাদের বাড়ির দুতলার নির্মাণ কাজ করছেন। বিল্ডিং কোড অমান্য করে আবার বর্ধিত আকারে সানসেট নির্মাণ করছেন। ফলে রাস্তায় চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সিটি করপোরেশন তদন্ত করে রাস্তার উপর বাসার সানসেট নির্মাণ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিলেও তা মানা হয়নি। কৌশল অবলম্বন করে রাসেল বাড়িতে বসবাস ও চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন দাবি করে মান্নান খান জিডিতে উল্লেখ করেন, গত ২১ জানুয়ারি রাত ১২ টায় রাসেল হুমকী প্রদান করেন। ফলে তিনি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম নিতে পারে বলেও তিনি দাবি করেন।

জিডির পর বুধবার (২৪ জানুয়ারি) কোতোয়ালী থানার এএসআই মনির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ফয়েজ বলেন, জিডির পর পুলিশ স্থান পরিদর্শণ করে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত