সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৮:৫৭

বাবা হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধনে শিমুর শিশুকন্যা

সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত শিমু হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শিমুর পরিবার ও স্বজনদের উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।

শনিবার দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কর্মসূচীতে বিএনপি অঙ্গসংগঠন সহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন কর্মসূচীতে একাত্মতা পোষন করে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম।

তিনি বলেন, খুনীদের দলীয় কোন পরিচয় নেই। শিমুর হত্যাকারী যারাই হোকনা কেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী আর খুনীদের বিএনপি কখনো আশ্রয় প্রশয় দিবে না। তিনি বলেন, মেধাবী ছাত্রনেতা শিমুকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ও প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি নিহত শিমুর পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, খুনীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে আমরা শিমুর পরিবারের পাশে থাকবো। বিএনপি পরিবার খুন গুম ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেছেন, যারা খুন খারাবী ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে এদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দলের পরিচয় দিয়ে যারা অন্যায় অবিচার করে তারা দেশ ও জাতির কলংক। তিনি শিমু হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

শিমুর মামা তারেক আহমদ লষ্কর এর সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি লিটন আহমদ এর পরিচালনায় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি কামরুল হুদা জায়গীরদার, মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি ও শাহী ঈদগাহ হাজী গাজী শাহ মীর মাজার মসজিদের মোতাওয়াল্লী এড. মুয়াজ্জেম হোসেন রানু, জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়ছল, জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ওলিউর রহমান ডেনি, সমাজসেবা সম্পাদক শাহ সাইদুর রহমান হিরু, মহানগর বিএনপির সহ আপ্যায়ন সম্পাদক সাজ্জাদ আহমদ, সমাজ সেবক এসএম শওকত আমিন তৌহিদ, আমিন জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল, জিয়া উদ্দিন চৌধুরী লিটন, সেলিম আহমদ, সালেহ আহমদ খান, জেলা জাসাসের যুগ্ম সম্পাদক ছদরুল ইসলাম সাগর, নয়াসড়ক মাদ্রাসার শিক্ষক মুসাদ্দেক হোসেন, পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নিহত শিমুর মেয়ে মেহের নিগার জান্নাত, ছোট ভাই মেহেদী হাসান সাকির, ফোকাস সামাজিক সংস্থার সভাপতি রায়হান আহমদ, বন্দরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নিহত শিমুর বায়রা এনাম আহমদ, মুক্তা আহমদ, নিহত শিমুর বড় মামা রুহেল আহমদ, মহিউদ্দিন আহমদ সহ পরিবারের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এখলাছুর রহমান মুন্না, হুসেন আহমদ, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সমাজসেবা সম্পাদক জামাল আহমদ খান, তোয়েলুর রহমান শিপন, আজিজুল হক আরজু, মাহিন উদ্দিন, শাহেদ আহমদ, হিরা, আব্দুল করিম জোনাক, আনোয়ার হোসেন রাজু, আশরাফ উদ্দিন রুবেল, জিল্লুর হক জিল্লু, জাবেদ সিদ্দিকী, জাবের হোসেন, আলমগীর হোসেন, ইমতিয়াজ হোসেন, জাকারিয়া আহমদ, পাটোয়ারী সুহেল, কামরুল ইসলাম বাবু, সেলিম আহমদ, জাকারিয়া আহমদ, খোকন আহমদ, লিংকন আহমদ, আলী আকবর রাজন, নাহিয়ান সাকির চৌধুরী রকি, ইসতিয়াক রহমান রাজু, নাহিদ আহমদ মন্টি, আব্দুল আজিজ লোকমান, রুমান আহমদ রাজু, সালমান আহমদ ইমন, জাবেদুর রহমান, আব্দুল কাদির রনি, দেওয়ান সুমের রাজা, ইসহাক ইমন, মো. আরিফ আহমদ শোভন, জুয়েল আহমদ, মোতালেব পাশা, সুজন আহমদ, ফাহিম আহমদ প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত