সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক যুবতীকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের পর অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময়ে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আটক ওই যুবকের নাম রেহান উদ্দিন (৩৫)। এঘটনায় ভিকটিম নারী বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় যুবতীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় বিয়ানীবাজার উপজেলাস্থ বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বরত সদস্যরা মেয়েটির চিৎকার শুনে রেহান উদ্দিনকে আটক করেন। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার কাছে বিজিবি সদস্যরা এই আসামী ও যুবতীকে হস্তান্তর করেন।

অভিযুক্ত রেহান উদ্দিন দীর্ঘ দিন থেকে বিভিন্ন উপজেলা থেকে নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে এস জোরপূর্বক ধর্ষণ ও দেহ ব্যবসা করে আসছিল। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন ও জুড়ী থানায় পৃথক পৃথক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রয়েছে। সর্বশেষ গত ৩দিন থেকে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মাটিকাটা এলাকার জনৈক ব্যক্তির কন্যাকে বিভিন্নভাবে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে রেহানের তার বাড়িতে নিয়ে আসে। ৩দিন জোরপূর্বক ধর্ষণের পর ভয় দেখিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় বিয়ানীবাজার বিডিআর ক্যাম্পের নিকটে পৌঁছালে ওই যুবতী চিৎকার শুরু করে। এসময় বিজিবি‘র সদস্যসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রেহানকে আটক করে বিয়ানীবাজার থানায় পুলিশের হাতে সোপর্দ করলে সেখানে থেকে রেহানকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় প্রেরণ করা হয়। পুলিশ ওই যুবতীকে

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি (প্রশাসন) একেএম ফজলুল হক শিবলি বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রেহানকে অভিযুক্ত করে মামলা (নং- ১০, তাং- ১৭.০২.১৮) দায়ের করেছে। মেডিকেল পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে যুবতীকে বাড়ির লোকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।