মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় গত তিনদিনের ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি ও ঢলে নিম্নাঞ্চলসহ উপজেলার প্রায় ১০ হেক্টরের উঠতি বোরো ফসল, ৫ হেক্টর পরিমাণ সবজি ক্ষেত ও আউশের বীজতলা নিমজ্জিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উজানে ঢলের পানি নামলেও নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্তের আশংকা দেখা দিয়েছে।
 
ভারী বর্ষণে উজান থেকে ঢল নেমে কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া, জপলাছড়া, সুনছড়া ও লাঘাটা নদী উপচে আদমপুর, আলীনগর, শমশেরনগর, পতনউষার ও মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়। এসব এলাকার উঠতি বোরো ফসল ও, সবজি ক্ষেত ও বীজতলা নিমজ্জিত হয়। উজান থেকে দ্রুত পানি নেমে আসলেও নিম্নাঞ্চলের ধূপাটিলা, হালাবাদি, মাইজগাও, পতনউষার, শ্রীরামপুর, রূপষপুর, কেছুলুটি, সতিঝিরগ্রাম সহ ১৫টি গ্রাম এলাকা ও কেওলার হাওরসহ নিম্নাঞ্চল এলাকায় নতুন নতুন স্থান প্লাবিত হয়ে পড়ছে। কেওলার হাওর, মকাবিলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় মাঝে মধ্যে হাওরের বোয়ালসহ দু’একটি মাছ  মরে পানিতে ভেসে উঠতে দেখা গেছে।

গত তিনদিন ধরে বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ও চা বাগানের অসংখ্য ছড়া, খাল উপচে পানি বেরিয়ে আসার ফলে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতায় রূপ নিচ্ছে। লাঘাটা নদীর নিম্নাঞ্চলে ঝোপজঙ্গল, নদী সংকোচন, ভরাট, বাঁশের খাটি এসব নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় কেওলার হাওর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০ হেক্টরের উঠতি বোরো ফসল, বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫ হেক্টরের সবজি ক্ষেত, আউশের কিছু বীজতলা, গ্রাম্য রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। চা বাগান ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢল নেমে লাঘাটা নদীর আলীনগর, শমশেরনগর এলাকার ভাঙ্গা স্থান দিয়ে পানি বেরিয়ে নিম্নাঞ্চলে গো-খাদ্য সংকট ও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।
এলাকার কৃষকরা জানান, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারণে নদীভাঙ্গন ও নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বড় ধরণের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ফিবছর কেওলার হাওর সহ আশপাশ এলাকায় বন্যা ও জলাবদ্ধতায় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দীন আহমদ বলেন, বোরো ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। তারপরও শেষ পর্যায়ের কিছু বোরো ফসল ও সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হচ্ছে।