বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি

২৭ আগস্ট, ২০১৮ ১৫:০৭

বিয়ানীবাজারে সড়ক অবরোধ, প্রশাসনের আশ্বাসে প্রত্যাহার

বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়ক অবরোধের দুই ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করেছে বিয়ানীবাজারের চার ইউনিয়ন ও পৌরসভার একাংশের আন্দোলনকারীরা। উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের হস্তক্ষেপে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

সোমবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে ভুক্তভোগী বিয়ানীবাজার পৌরসভার লাসাইতলা ও দাসগ্রাম এবং মোল্লাাপুর, কুড়ারবাজার, মাথিউরা ও তিলপাড়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ অবরোধে অংশ নেয়।

এ সময় বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। আটকে পড় যানবাহনে থাকা সাধারণ মানুষও অবরোধের প্রতি একাত্মতা পোষণ করেন। জনদুর্ভোগ লাঘব এবং এক সপ্তাহের মধ্যে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ, ময়লা স্থানান্তর করা কিংবা বালু-মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলার আশ্বাস দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান ও বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজালাল মুন্সী।

তাদের আশ্বাস ও হস্তক্ষেপে অবরোধকারী তিন ইউনিয়ন, মোল্লাপুর ও পৌরসভার একাংশের ভুক্তভোগীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন নেন। এ সময় মাথিউরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিহাব উদ্দিন, মাথিউরা ইউনিয়ন উন্নয়ন সংস্থা ইউকে’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কামাল হোসেন ও নূর উদ্দিন লোদী, লায়ন্স ক্লাব অব বিয়ানীবাজারের সাবেক সভাপতি লায়ন সোহেল আহমদ, ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমান, নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত মে মাস থেকে পৌরশহরে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে লাসাইতলার বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের পাশে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা দফায় দফায় পৌরসভার দায়িত্বশীলদের বর্জ্য ফেলা বন্ধের দাবি জানান। গত ২৪ জুন বিয়ানীবাজার পৌরসভার গিয়ে পৌর মেয়রের সাথে ৫০ জনের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করার দাবি জানান। মেয়র ভুক্তভোগী প্রতিনিধি দলকে এক সপ্তাহের মধ্যে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করার আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত