বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি

০৫ অক্টোবর, ২০১৮ ১৯:১৯

বিয়ানীবাজারে অস্থায়ী মাছ বাজার উচ্ছেদ

সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের পৌরশহরের মধ্য অংশে অস্থায়ী মাছ বাজার বসানো হয় গত তিন বছর থেকে । অস্থায়ী এ মাছ বাজার প্রায় তিন বছর পর শুক্রবার ভোরে উচ্ছেদ করে পৌরসভা।

তবে গত ১০দিন থেকে পৌর কিচেন মার্কেটে নির্ধারীত জায়গা বরাদ্ধ পেতে মৎস্য ব্যবসায়ীরা মাছ বিক্রি বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন। অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট অব্যাহত রাখায় মাছের সংকটে পড়েছেন পৌরসভা ও আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা।

শনিবার অস্থায়ী সবজিবাজার উচ্ছেদ করবে পৌরসভা। এতে দীর্ঘদিনের জঞ্জালমুক্ত প্রধান সড়ক পাওয়ায় স্বস্থি ফিরেছে জনজীবনে। তবে মাছ বিক্রি বন্ধ থাকায় কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়েছেন উপজেলাবাসী।

সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, কলেজ রোড ও মধ্যবাজারের উত্তর অংশে কিছু সবজি ব্যবসায়ী এখনো রয়েছেন। আজ শনিবার তাদের উচ্ছেদ করার কথা রয়েছে। তবে সবজি ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী ছাউনী উচ্ছেদ না হলে পুনরায় দখলে চলে যাবে বলে মনে করেন কলেজ ও মেইন রোডের ব্যবসায়ীরা।

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, অস্থায়ীবাজার থেকে শুক্রবার পৌর কিচেন মার্কেটে যাচ্ছে সবজি ব্যবসায়ীরা। গত ১ অক্টোবর সবজি ব্যবসায়ীদের পৌর কিচেন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় দোকান কোটা বরাদ্ধ দেয়া হয়। একইভাবে মৎস্য ব্যবসায়ীদের দ্বিতীয় তলায় দোকান তৈরী করে রাখা হলেও ব্যবসায়ী সেখানে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন।

জানাযায়, পৌর কিচেন মার্কেট নির্মাণে পূর্বে মৎস্য ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৫ সালে সরানো হয়েছিলো। তৎক্ষালিন পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন কিচেন মার্কেটের ভূগর্ভস্থ অংশ মাছ ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্ধ রেখে প্রথম তলা (সমতল অংশ) লীজে দেন। বর্তমান মেয়র মার্কেটের দ্বিতীয় তলা মাছ ও সবজি ব্যবসায়ীদের জন্য প্রস্তুত করে। সবজি ব্যবসায়ীরা দ্বিতীয় তলায় যেতে সম্মত হলেও মাছ ব্যবসায়ী যাচ্ছেন না। উল্টো পৌরসভার বিমাতাসুলভ আচরণের অভিযোগ তুলে গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে মাছ বিক্রি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছন। টানা ১০দিন থেকে বিয়ানীবাজার পৌরশহরে মাছ বিক্রি বন্ধ রয়েছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ বলেন, কয়েক মণ ওজন (মাছ) নিয়ে ব্যবসায়ীরা দু’তলায় ওঠানামা করা, বরফ বহন করা- এসব প্রতিকুলতার কারণে আমরা যাচ্ছি না। তাছাড়া বড়লেখা পৌরসভায় কিচেন মার্কেটের দু’তলা গিয়ে ব্যবসায়ীরা স্থায়ী হতে পারেননি। আমরা অনুকুল পরিবেশ চাই। পেলে ব্যবসা করবো না পেলে করবো না।

পৌর মেয়র আব্দুস শুকুর বলেন,  গত ৬ মাস থেকে বিভিন্ন দায়িত্বশীলদের মাধ্যমে তাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আমি নিজে সব রকম সুযোগ সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছি। এমনি ভাড়া না নেয়ার কথা বলেও ব্যবসায়ীদের রাজি করাতে পারিনী। তারা একদফা দাবিতে অনড় রয়েছেন। অথচ এ বিষয়ে আমার কোন হাত নেই। আমি কিছু করতেও পারছি না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত