গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:

০৭ নভেম্বর, ২০১৮ ২২:১৬

জৈন্তাপুর ও জাফলংয়ে দুটি সাব-ষ্টেশনের অনুমোদন

সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাটের পূর্ব জাফলংয়ে মানুষের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে এবং জাফলং এলাকায় নতুন করে ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনে জৈন্তাপুর ও জাফলং অঞ্চলে ১৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাব-স্টেশন স্থাপন ও জৈন্তাপুর উপজেলায় নতুন অফিস ভবন নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার।

জৈন্তাপুর আবাসিক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বাবলু সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ইতোমধ্যে অর্থ বরাদ্দসহ যাবতীয় আনুষাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলিত বছরে নতুন সাব-স্টেশন ও  নিজস্ব অফিস ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হবে। সম্প্রতি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা শতভাগ এলাকায় বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। জৈন্তাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১৮৪টা গ্রাম ইতোমধ্যে বিদ্যুতায়ন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় অধীনে  বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সিলেট-২ জৈন্তাপুর উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কাজ বাস্তবায়ন করে। ১ নভেম্বর সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জৈন্তাপুর উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জৈন্তাপুর শাখা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের ফেরিঘাট এলাকায় ৩৩/১১ কেভি উপ-কেন্দ্রের পাশে ৫৫ (শতক) জমির উপরে নতুন  সাব-স্টেশন উপকেন্দ্র স্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে ১১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়।  নতুন অফিস নির্মাণ কাজে ৩ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বটেশ্বর থেকে জাফলং পর্যন্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জৈন্তাপুর আবাসিক প্রকৌশলী‘র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা। ঐ এলাকায় তাদের অন্তত ১৫ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। সরকার প্রতি বছর জৈন্তাপুর উপজেলার গ্রাহকদের নিকট থেকে প্রায় ১৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকেন।

জাফলং-তামাবিল, শ্রীপুর, আলু বাগান এলাকায় ছোট বড় শত শত ক্রাশার মেশিনে বিদ্যুৎ লাইন সরবরাহ করা হয়েছে। জাফলংয়ের ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসারে জাফলং গ্রিন পার্ক এলাকায় ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন সাব-স্টেশন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জাতীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদের ঐক্যন্তিক প্রচেষ্টায় বিগত ১০ বছরে জৈন্তাপুর উপজেলার বিদ্যুৎ উন্নয়নে ব্যাপক কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

ফেরিঘাট এলাকায় ৩৩/১১ কেভি উপ-কেন্দ্র স্থাপন, ৩৩ কেভি নির্মিত লাইন ৩০ কিলোমিটার, ১১ কেভি নির্মিত লাইন ৬৭ কিলোমিটার এলটি লাইন নির্মাণ করা হয়েছে ৭৩ কিলোমিটার, ১১/০৪ কেভি  নির্মিত লাইন ৮৪ কিলোমিটার নতুন ট্রান্সফরমার বিতরণ ও স্থাপন করা হয়েছে ৬৪টি। গোয়াইনঘাট উপজেলায় ১১ কেভি নির্মিত লাইন ২৬ কিলোমিটার, এলটি লাইন নির্মাণ ২৭ কিলোমিটার নতুন ট্রান্সফরমার বিতরণ ও স্থাপন করা হয়েছে ১৫৮টি।

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বাবলু জানান, জৈন্তাপুরে  নতুন সাব-স্টেশন উপকেন্দ্র  নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরে এই অঞ্চলের জনসাধারণ শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করবেন এবং ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। এই কাজ চলমান সময়ে তিনি স্থানীয় সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী জানান, এদেশে যতবার আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছে ততবারই জনকল্যাণে কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সরকার সর্বক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়ন করেছে। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা অতীতের সকল রেকর্ডকে ভঙ্গ করেছে। বৃহত্তর জৈন্তাপুরের বিদ্যুৎ উন্নয়নেও সরকার ব্যাপক কাজ বাস্তবায়ন করেছে।

তিনি আরো জানান, নতুন সাব-স্টেশন নির্মাণ কাজ শেষ হলে তামাবিল, জাফলং সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার ও আয় বৃদ্ধি পাবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত