নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ০১:৫২

ড. কামালের নির্দেশেই শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত মোকাব্বির খানের

দলীয় প্রধান ড. কামাল হোসেন ও দলের সিদ্ধান্তেই সিলেট-২ (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ)এর সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন গণফোরামের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান।

স্বাধীনতার মাস মার্চের প্রথম সপ্তাহের যে কোনো দিন শপথ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরে শপথের দিনক্ষণ ঠিক করবেন। তিনি জানান, ঐক্যফ্রন্টের শরিক বিএনপির সংসদ সদস্যরা শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত জানার কারণে এতদিন অপেক্ষা করেছেন। তারা সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় এবার আমি শপথ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৮ জন প্রার্থী জয়ী হয়। তাদের মধ্যে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও মোকাব্বির খান গণফোরামের হয়ে নির্বাচন করেন। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় বিজয়ী কেউ শপথ নেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ গণফোরামের মনোনয়ন পেয়ে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হন।

ঐক্যফ্রন্ট ও গণফোরাম বিজয়ীদের শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত জানালেও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন স্থানীয় ভোটারদের চাপে তিনি শপথ নিচ্ছেন। কিন্তু সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান শপথ নিচ্ছেন, এমন সিদ্ধান্ত নিলেও পরে তিনি শপথ নিচ্ছেন না বলে সিদ্ধান্ত থেকে সরে যান।

শনিবার সিলেটের ওসমানীনগরের খন্দকারবাজারে প্রবাসী ওসমানীনগর-বালাগঞ্জ অ্যাডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের বৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের উপস্থিতিতেই আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার ঘোষণা দেন।

বিএনপি নেতা নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদির লুনা সিলেট-২ (ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ) আসনে প্রথমে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেলেও আইনি জটিলতায় পড়ে লুনা নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়ায় এ আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী শূন্য হয়ে যায়।

মোকাব্বির খান মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় তার প্রতি সমর্থন দেয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনের মাত্র তিন দিন আগে তিনি নির্বাচনী মাঠে নামেন। দুই উপজেলায় ১২৭টি কেন্দ্রে ‘উদীয়মান সূর্য’ প্রতীকে ৬৯ হাজার ৪২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন মোকাব্বির খান।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুর রহমান ‘ডাব’ প্রতীকে পান ৩০ হাজার ৪২০ ভোট। এছাড়া মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির ইয়াহ্?ইয়া চৌধুরী ‘লাঙ্গল’ প্রতীকে পান ১৮ হাজার ৩২ ভোট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত