নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ মার্চ, ২০১৯ ০০:৩৯

প্রকাশিত সংবাদে সাংসদ আব্দুস শহীদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

‘অধ্যাপক রফিক উধোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন’

সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ গত ৯ মার্চ‘কমলগঞ্জে সাংসদ শহীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আ.লীগ প্রার্থীর’ ও ১০ মার্চ ‘নৌকার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের সাংসদরা’ শিরোনামে প্রকাশিত দুটি সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি।

নিজের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ইমাম হোসেন সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদপত্রে এই দুটি প্রতিবেদনকে 'অসত্য, মনগড়া, বানোয়াট ও কাল্পনিক' উল্লেখ করে সাংসদের সম্মানহানি এবং দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে' প্রকাশিত হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়।

প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়- ''সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে ‘কমলগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের সহোদর স্থানীয় এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ। তিনি সরকারি প্রটোকল ব্যবহার করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উন্নয়ন কাজের প্রতিশ্রুতিসহ নানাভাবে ছোট ভাইয়ের পক্ষে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা করছেন।’ এ কথাগুলো ঢাহা মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এর সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। অধ্যাপক রফিকুর রহমান সাংসদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অসত্য ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে ‘উধোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো’র মতো কাজ করে নিজের বৈতরণী পার হতে চাচ্ছেন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাংসদ শহীদ তাঁর নির্বাচনী এলাকা শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় কোনও প্রার্থীর পক্ষে কোথাও প্রচারণায় অংশ নেননি। যা সম্মানিত কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলাবাসী জ্ঞাত আছেন। সাংসদ তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানও করছেন না কিংবা তাঁর ভাইয়ের পক্ষে কোন ধরণের নির্বাচনী কর্মকান্ডেও অংশ নিচ্ছেন না’।''
 
''সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয় ‘দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান ও নৌকার বিরুদ্ধে দলের সুবিধাভোগী জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীদের কর্মকান্ডের নিন্দা জানান অধ্যাপক রফিকুর রহমান।’ এক্ষেত্রে দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান সুবিধাভোগী জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মী আখ্যায়িত করে কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বোধগম্য নয়। প্রকারন্তরে এ দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীদের এসব কথা বলে নিজেকেই অসম্মানিত করেছেন। তাঁর এই বক্তব্যের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে তিনি নিজেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তাছাড়া দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীরা অধ্যাপক রফিকুর রহমানের সাথে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কেনও অংশ নিচ্ছেন না সেটার দায়ভার দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাঁরই।''

প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রকাশিত প্রতিবেদন দুটি কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধাপক রফিকুর রহমানের সংবাদ সম্মেলনের ভিত্তিতে করা হয়েছে। গত ৮মার্চ সকালে অধ্যাপক রফিক সাংসদ আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মিলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে রফিকের করা অভিযোগগুলোই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে প্রতিবেদক মনগড়া বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো তথ্য উপাস্থাপন করেননি। সাংসদের সম্মানহানি বা ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের কোনো উদ্দেশ্যও এতে ছিলো না।

কারো সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশের রেওয়াজ গণমাধ্যমে বহুল চর্চিত। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত অভিযুক্ত বা অন্যকারো বক্তব্য যুক্ত না করারও রেওয়াজ রয়েছে। এ দুটি প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেও এই রেওয়াজ অনুসরণ করা হয়েছে। তবে সাংসদ আব্দুস শহীদের বক্তব্য যুক্ত করা গেলে প্রতিবেদন দুটি আরও ঋদ্ধ হতো বলেই বিশ্বাস করি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত