শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

২৯ জুন, ২০১৯ ১৩:৩৪

ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ ট্রেন চলাচল, দুর্ভোগে যাত্রীরা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দুর্ঘটনাকবলিত উপবন এক্সপ্রেসের বগিগুলো উদ্ধার করার জন্য সাময়িকভাবে সিলেটের সাথে ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়। এদিকে কোন প্রকার পূর্বঘোষণা না দিয়ে হঠাৎ করে এভাবে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৯ জুন)  সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ৩০ মিনিট দেরিতে শ্রীমঙ্গলে এসে দাঁড়িয়ে ছিল। আরেকটি লোকাল ট্রেন (জালালাবাদ এক্সপ্রেস) ও দীর্ঘক্ষণ ধরে শ্রীমঙ্গল স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল।

ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস সিলেট থেকে ছেড়ে এসে দাঁড়িয়ে থাকে বরমচাল ভাঙা ব্রিজের পাশে। সিলেট থেকে ছেড়ে আসেনি ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসও।

হঠাৎ করে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন।

পারাবতের এক্সপ্রেসের সিলেটগামী যাত্রী তিন্নি সাহা সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ রকম দায়িত্বহীনদের মতো হঠাৎ করে কোন ঘোষণা ছাড়া রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়াটা খুবই দুঃখজনক। রেলওয়ে যাত্রীদের আগে অবগত করতে পারতো।

এদিকে জালালাবাদ এক্সপ্রেসে আটকে থাকা ষাটোর্ধ যাত্রী মনোয়ার হোসেন জানান, আমি যাবো মাইজগাঁও সকাল থেকেই এখানেই ট্রেন আটকে আছে। গরমে খুব অসুস্থ লাগছে।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন সকালে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বগি উদ্ধারের কাজ চলছে। কাজ শেষ হয়ে গেলেই রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, রোববার (২৩ জুন) রাত ১১টা ৪৮ মিনিটে সিলেট থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকার কাছেই সেতু ভেঙে আন্তঃনগর ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের কয়েকটি বগি খালে পড়ে যায়। এছাড়া আরও তিনটি বগি স্থলভাগের সীমানায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। মোট পাঁচটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় লোকজনও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।

এ ঘটনায় নিহত হন চারজন এবং আহত হন শতাধিক যাত্রী। এ দুর্ঘটনার কারণে ২২ ঘন্টা বন্ধ থাকে সারাদেশের সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত