নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ অক্টোবর, ২০১৯ ১৯:৩৭

জাফলংয়ে বনের জমি উদ্ধারে অভিযান, অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে বন বিভাগের জমি উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। বন বিভাগের আবেদনে জেলা প্রশাসনের অভিযানে পাথর ভাঙ্গার ক্রাশার মেশিনসহ অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। শনিবার দিনভর জাফলং গ্রীণপার্ক, কানাইজুড়ি ও রহমতপুর এলাকায় এ অভিযান চলে। রোববার এ অভিযানের বিষয়টি জানায় জেলা প্রশাসন।

গত ৪ সেপ্টেম্বর 'জাফলংয়ে বনের জমি নিজেদের দাবি করছে মোহাজেররা' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় ভূমিখেকোরা বনের জমি দখল করে ডাম্পিং ইয়ার্ড ও স্টোশন ক্রাশার মেশিন স্থাপন করেছে বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ওই এলাকায় বনবিভাগের প্রায় ৪০ শতাংশ জমি বেদখল হয়ে গেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বনের জমি উদ্ধারে দীর্ঘ উদাসীনতার পর অবশেষে শনিবার অভিযানে নামে প্রশাসন। সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ ছাড়াও মজুদ করে রাখা পাথর জব্দ করা হয়।

জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্রে জানা যান, অভিযানে ছোট-বড় মোট ৩৩টি অবৈধ ক্রাশার মেশিন এবং ২৪টি টিনের তৈরি অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ধ্বংস করা হয়। ধ্বংসকৃত এসব সরঞ্জামের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। এছাড়া বনাঞ্চলের অভ্যন্তরে ডাম্পিং করে রাখা আনুমানিক প্রায় ১হাজার ৮শ’ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, বন বিভাগের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের জায়গা থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানের সময় এ এলাকার বন ও পরিবেশ বিনষ্ট করে ব্যবসা পরিচালনাকারী পাথর ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। বন ও পরিবেশ রক্ষায় জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কাগজে কলমে গোয়াইনঘাট উপজেলায় বনবিভাগের ২২ হাজার ২০৭ একর জায়গা রয়েছে। এরমধ্যে জাফলং বিটের সর্বমোট ভূমির আয়তন ৬ হাজার ৮শ’ ৭১ একর। যার ৫৩৭ একর জায়গায় ছিলো সংরক্ষিত বনাঞ্চল। ২০০৭ সালে টিলাশ্রেণীর এই ভূমিতে গড়ে তোলা হয়েছিল গ্রীণপার্ক। তবে সংরক্ষিত এই বনের ২৩৭ একর জায়গা আগেই বেদখল হয়ে গেছে। এবার নতুন করে বনের জমি দখল করছে আরেকটি গোষ্ঠি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত