জুড়ী প্রতিনিধি

১২ অক্টোবর, ২০১৯ ২০:৫৪

আবরার হত্যাকাণ্ডে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা: জুড়ীতে হানিফ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি।

তিনি বলেছেন, “অপরাধীদের কোন দল নেই। আবরার হত্যার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ।”

শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, “যে কোন অপকর্মের সাথে আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধীর কোন ছাড় নেই। আবরারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করা হচ্ছে।”

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, “বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে মেজর জিয়া সেনাবাহিনীর বারশ' মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ছিলেন। তার স্ত্রী পুত্র মিলে আওয়ামী লীগের ৩৬ হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করেছিল। তখন মির্জা ফখরুলের চোখে পানি আসেনি। মা-পুত্র দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। বাংলা ভাই আব্দুর রহমানের মাধ্যমে দেশে জঙ্গিবাদের জন্ম দিয়েছেন।”

হানিফ বলেন, “শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত দেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্যুৎ, কৃষি, বৈদেশিক রপ্তানি, তথ্য প্রযুক্তিসহ সর্বক্ষেত্রে যে উন্নয়ন হচ্ছে এ গুলো ফখরুল সাহেবের চোখে পড়ে না। উনার চোখে ছানি পড়েছে। নতুবা তিনি হিংসা পরায়ণ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশ বহু স্বীকৃতি পেয়েছে। শেখ হাসিনা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফুটিয়ে তুলেছেন। তারই দলের কর্মী আমরা। ২/১ জন ব্যক্তির জন্য দলের গায়ে কলঙ্ক লাগতে দেয়া হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন ক্লাবের ক্যাসিনোকে কেন্দ্র করে দলের গায়ে কলঙ্ক লাগানো হচ্ছে। জিয়াউর রহমান ৭৭সালে মদ জুয়ার লাইসেন্স দিয়ে ক্যাসিনো শুরু করেছিলেন। লোকমান, শামীম বিএনপি থেকে আসা। খালেদার কাছের লোক। শামীম কাদের মাসোয়ারা দিত, তার ডায়রিতে লেখা আছে। সেখানে বিএনপির তিন শীর্ষ নেতার সাথে মির্জা ফখরুলের নামও আছে।”

আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ নেই জানিয়ে হানিফ বলেন, “আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী সংগঠন। আন্দোলন কিভাবে করতে হয় এবং আন্দোলন কিভাবে প্রতিহত করতে হয়, তা আওয়ামী লীগ জানে। আওয়ামী লীগের লাখ লাখ কর্মী যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত।”


উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা বদরুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় জুড়ী শিশুপার্কে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ নেছার আহমদ।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং পরিবেশ, বন ও  জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন,বাংলাদেশে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন প্রমুখ।

বিশেষ বক্তা ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান। এছাড়া সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত