বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

০৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৮:৩৮

বিশ্বনাথে বৃদ্ধকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা

ইউপি সদস্যসহ অভিযুক্ত ৪

সিলেটের বিশ্বনাথে বৃদ্ধকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) মুক্তার আলীর মেয়ে রেজিয়া বেগম (২২) বাদি হয়ে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতে একটি হত্যা মামলা (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং ৪০৪/১৯) দায়ের করেন। ওইদিন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদেশে রাতেই বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা থানায় হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য করেন, (বিশ্বনাথ থানায় মামলা নং ২)।

মামলার বাদি রেজিয়া বেগমের সৎ মা জিয়াছমিন বেগমকে (৩৫) প্রধান আসামি করে চাচা, ফুফু ও ইউপি সদস্যসহ মোট ৪জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলার বাকি তিনজন আসামি হলেন, রেজিয়ার আপন চাচা সেবুল মিয়া (৩৫), ফুফু রাজনা বেগম হেলন (৩২) ও  গ্রামের ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান (৪৬)।

এদিকে গত ২৭ নভেম্বর বুধবার বিষ পানে মুক্তার আলীর মৃত্যুর পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদি রেজিয়া বেগম। অভিযুক্তদের ফাঁসি দাবি করে তিনি বলেন, আসামিরা তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে। যে কারণে ঘটনার পর থেকই তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

একইভাবে অভিযোগ করেছেন বড়তলা গ্রামের রুকন মিয়াজি, ছগির আলী, মোতোয়ালি মোজাহিদ আলী, খছরু মিয়া, শাহ আজমল ইসলাম রাজন, মানিক মিয়া, আশিক আলী ও খছরু মিয়া। তারা বলেন, মামলার আসামিরা পরিকল্পিতভাবে মুক্তার আলীকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে।

এঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ দাবি করে তারা আরও বলেন, ন্যায় বিচার পেতে তারা থানায় গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এমনকি থানার এসআই মিজানুর রহমান নিজে আসামিদের পক্ষপাতিত্ব করছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।  

অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি জটিল। মামলাটি তদন্তাধিন রয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া এই মুহূর্তে কিছুই বলা যাবে না।   

প্রসঙ্গত, গত বুধবার মুক্তার আলী (৬২) নামের এক বৃদ্ধ বিষ পানের পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরআগে ওইদিন রাত সাড়ে ১২টায় বাসার দরজার সামনে বিষপানে অচেতন অবস্থায় পেয়ে মুক্তার আলীর ছেলে-মেয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বিষপানে মৃত্যু হওয়া মুক্তার আলী বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের বড়তলা গ্রামের গণি মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার চারদিন পর তার মেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত