জৈন্তাপুর প্রতিনিধি

২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ২১:০৩

জৈন্তাপুরে মৃত গরু জবাই করে বিক্রয়ের চেষ্টা!

সিলেটের জৈন্তাপুর বাজারে মৃত গরু জবাই করে সিলেট শহরে বিক্রয়ের জন্য নেওয়ার সময় জবাইকৃত পশুর মাংস জব্দ, মাংস বহনকারী লেগুনা আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় জৈন্তাপুর বাজারের এ ঘটনা ঘটে।

জৈন্তাপুর বাজার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জৈন্তাপুর বাজারের ভিতর গরুর বাজার সেড’ চোরাই পথে ভারত থেকে নিয়ে আসা রোগাক্রান্ত একটি গরু হঠাৎ করে মারা যায়। তখন স্থানীয় মসজিদের ইমামকে গরু জবাইর জন্য বলেলে তিনি গরু জবাই করতে যাননি। পরে কোন প্রকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই বাজারের ইজারাদারের সহযোগিতায় মৃত গরু জবাই করে সিলেট শহরে বিক্রয়ের জন্য লেগুনা গাড়ী নং সিলেট-ছ-১১-১২৮৯ তোলা হয়।

স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, মৃত গরু জবাই করে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান গরুর বাজারের ব্যবসায়ীরা। এসময় জবাইকৃত পশুর পচা দুর্গন্ধ বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী উপজেলা স্বাস্থ্য ইন্সপেক্টারকে সংবাদ দেন। সংবাদ পেয়ে স্বাস্থ্য ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম মোল্লা ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং জবাইকৃত পশুর মাংস জব্দ, মাংস বহনকারী লেগুনা আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে নিয়ে যান।

এলাকাবাসী আব্দুল কুদ্দুছ, রহিম আলী, মোবারক হোসেনে, বাবুল মিয়া, আব্দুল মন্নান বলেন, প্রায়ই জৈন্তাপুর বাজারে এরকম ঘটনা ঘটে। বাজারে এরকম ভাবে গরু জবাই করা কোন অবস্থায় ইজারাদার দায় এড়াতে পারেন না। বাজার ইজারার শর্ত অনুযায়ী বাজারে পশু জবাই করতে হলে অবশ্যই প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে ছাড়পত্র নিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে জবাই করতে হবে। কিন্তু ইজারাদার তা না করে প্রায়ই এরকম ভাবে মৃত গরু জবাই করেন।

এছাড়া অনেক সময় সীমান্ত এলাকায় গরু মারা গেলে চোরাকারবারী চক্রটি দ্রুত জবাই করে সিলেট শহরের বিভিন্ন মাংসের দোকানে ও হোটেলে সরবরাহ করছে বলে জানান তারা জানান।

এ বিষয়ে জানতে জৈন্তাপুর বাজার ইজারাদার সিদ্দিকুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বাজারে গেলেও থাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ইন্সপেক্টর মো. শহিদুল ইসলাম মোল্লা ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং পচা দুর্গন্ধযুক্ত পশুর মাংস ও বহনকারী লেগুনা গাড়ীটি আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসি। পরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন বলেন, মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে আটকৃকত গরুর মালিক লুৎফুর রহমানকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পচা মাংস জনসম্মুখে পুড়ে ফেলা হয়েছে।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত