হামিদুর রহমান, মাধবপুর

২৬ এপ্রিল, ২০২০ ১৯:৪৯

কৃষকের সাথে ধান কাটতে নেমেছেন স্কুল শিক্ষিকাও

মাঠে পাকা ধান। কিন্তু করোনার কারণে মিলছে না শ্রমিক। এ অব্স্থায় কৃষকদের সাহস দিতে কাস্তে হাতে ধান কাটায় নেমে পড়েছেন এক স্কুল শিক্ষিকা।

মাধবপুর পৌরশহরের নোয়াগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ডলিপ্রভা রায় গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন কৃষকদের সাথে মাঠে নেমে ধান কাটছেন। যা প্রশংসা কুড়াচ্ছে এলাকাবাসীর।

গোপালপুর গ্রামের কৃষকরা জানান, করোনা সংক্রমণের ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হয় না। কিন্তু মাঠে পাকা ধান পড়ে রয়েছে। শিলাবৃষ্টি ও বন্যায় ধান নষ্ট হওয়ারও শঙ্কা রয়েছে। ফলে দ্রুত ধান কাটা প্রয়োজন। এ অবস্থায় এগিয়ে এসেছেন শিক্ষক ডলি প্রভা রায়। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে কৃষকদের সাথে কাস্তে হাতে নিয়ে ধান কাটায় যোগ দেন তিনি। শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে কৃষকদের ধান কাটারও পরামর্শও দেন ডলি।

বিজ্ঞাপন



স্থানীয় আদাঐর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক পাঠান বলেন, শিক্ষক ডলিপ্রভা রায় প্রতিদিন মাঠে ধান কেটে কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছেন। তার মতো করে যদি আরও নারী-পুরুষ করোনার সংকটের সময়ে ধান কেটে কৃষকদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে তাহলে বন্যা, শিলাবৃষ্টির আগেই ধান ঘরে তোলা সম্ভব। এতে দেশের খাদ্য সংকট কমে যাবে।

এ ব্যপারে শিক্ষক ডলি প্রভা রায় বলেন, করোনা এখন পৃথিবীর বড় সংকট। কিন্তু এর চেয়ে বড় সংকট হয়ে দেখা দিতে পারে খাদ্য সংকট। প্রধানমন্ত্রী ও প্রাথমিক শিক্ষা পরিচালক বলেছেন, বোরো ধান কর্তনে আমরা যেন কৃষকের পাশে দাঁড়াই। তাই আমার নিজের দায়িত্ববোধ থেকে কৃষকদের সাথে ধান কাটছি। যাতে কৃষক বন্ধুরা সহজেই তাদের ধান ঘরে তুলতে পারে। কারণ ঘরে যদি খাদ্য না থাকে তখন অবরুদ্ধ হয়ে করোনার চেয়ে বহু মানুষ না খেয়ে মরবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত