সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৩:৩৭

তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রার পারদ নামল ৮.৪ ডিগ্রিতে

প্রতীকী ছবি

চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় জবুথবু দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বশেষ উপজেলা তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।

তবে সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও ছিল না উত্তাপ। শীতল বাতাসে কাবু এ এলাকার জনপদ।

তাপমাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায়। তিনি বলেন, ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে হিসাবে পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। গতকাল এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন পঞ্চগড়ের প্রায় ২০ হাজার পাথরশ্রমিক। নদীর বরফশীতল জলে নেমে পাথর তুলতে পারছেন না তাঁরা। যুগ যুগ ধরে পাথর তুলে জীবিকা নির্বাহ করে আসা শ্রমিকদের দুর্ভোগের ঋতু হলো শীতকাল।

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ফুলতলা এলাকার পাথরশ্রমিক ফজল হক। বাড়ির পাশের করতোয়া নদীর পানি থেকে নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। ফজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বরফের মতো ঠান্ডা পানিতে নেমে পাথর তুলতে হয়, কিন্তু এখন তীব্র শীতের কারণে প্রায় অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যেদিন সূর্যের তেজ একটু বেশি থাকে সেদিন নদীতে নামতে পারেন। তা-ও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পানি থেকে উঠে পড়তে হয়। আর অন্য দিনগুলো বসেই থাকতে হয়।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক আর শিশুরা সর্দি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত