সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ নভেম্বর, ২০১৬ ২০:০৫

গোপালগঞ্জে শিক্ষককে জুতাপেটা, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সরোয়ার হোসেন মামুন নামের এক শিক্ষককে মারপিট ও জুতাপেটা করেছেন এক অভিভাবক। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার মানববন্ধন ও ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোটালীপাড়া উপজেলার নেছারউদ্দিন তালুকদার স্কুল এন্ড কলেজের ওই শিক্ষককে তুচ্ছ ঘটনায় মারধর করেন স্কুলটির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আবুল কালাম। এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবারও বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক সরোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘সকালে আমি কলেজে এসে অধ্যক্ষের কক্ষে হাজিরা খাতা স্বাক্ষর করতে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরীক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেনের বাবা আবুল কালাম শেখ হঠাৎ আমাকে চড়-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারতে মারতে অধ্যক্ষের সামনে নিয়ে যান। এরপর সেখানে তার পা থেকে জুতা খুলে আমার মুখে উপর্যুপরি মারতে থাকেন। পরে অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা আমাকে রক্ষা করেন।’

ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ফরিদ আহম্মেদ সিকদার ও কামাল তালুকদার বলেন, ‘ছাত্রের অভিভাবক (পিতা) আবুল কালাম শেখ শিক্ষককে মারপিট ও জুতাপেটা করেছেন। এটা ন্যাক্করজনক কাজ। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে তাকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি, যাতে আর কেউ এ ধরনের জঘন্য কাজ করতে সাহস না পায়।’

ওই কলেজের অধ্যক্ষ আশুতোষ বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ওই ছাত্রের নাম (শাহরিয়ার হোসেন) তৃতীয় নম্বর ক্রমিকে ছিল। কিন্তু, বোর্ড থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে তাতে ওই ছাত্রের নাম এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। ওই ছাত্র পরীক্ষায় পছন্দের সিটে বসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। এ কারণে ওই ছাত্রের বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক সরোয়ার হোসেন মামুনের ওপর হামলা করে।

কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই অভিভাবককে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

সূত্র: বাংলট্রিবিউন

আপনার মন্তব্য

আলোচিত