সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ জুন, ২০১৭ ১৫:২৫

চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগে বাড্ডা থানার ওসিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন এক গৃহিনী।

রোববার (১১ জুন) ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বাড্ডা এলাকার বসবাসকৃত গৃহিনী নূন নাহার নাছিমা। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহন করে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন- বাড্ডা থানার ওসি এমএ জলিল, এসআই শহীদ, এএসআই দ্বিন ইসলাম ও মো. আব্দুর রহিম, জাহানারা রশিদ রূপা, রোকেয়া রশিদ, আতাউর রহমান কায়সার এবং মো. শুকুর আলী। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩ জন কনস্টেবলসহ সিভিল পোশাকের আরও ৫/৭ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।

মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১০ জুন ওসির আদেশে অন্য আসামিরা বাদীর বাসায় এসে তার ছেলেকে আসামি জাহানারা রশিদের বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বলে। বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ায় আসামিরা তার ছেলেকে হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে, বাসায় ভাঙচুর করে ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার এবং জমির কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এ সময় আসামিরা বাদীর ছেলেকে হত্যার হুমকিও দেয়

আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৬ মে আসামি এমএ জলিলের আদেশে অন্য আসামিরা বাদীর বাসার ভাড়াটিয়াকে বের করে ফ্লাটে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে নেয়। পরে চাবি ফেরত চাইলে বাড্ডা থানার এএসআই আব্দুর রহিম দুই লাখ টাকা দাবি করে সরাসরি থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। না দিলে বিপদে পড়ার হুমকি দেন তিনি।

মামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিল কাছে দাবি করেন, তিনি বাদীকেই চেনেন না। পুলিশের যেসব কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা চাঁদা চেয়েছেন বা চুরি করেছেন—তা আদৌ সত্য নয়। তবে ওই দুই পক্ষের মধ্যে পারিবারিক জমিসংক্রান্ত ঝামেলা আছে।

ওসি আরো বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ থাকলে বাদী তাঁকে জানাতে পারতেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত