০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:৫৩
রাজধানীর বাংলামোটরে সাফায়েত নামে তিন বছরের এক শিশুকে ‘কুপিয়ে হত্যা’ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে শাহবাগ থানার পুলিশ। তবে বাসার ভেতরে দা হাতে শিশুটির বাবা নুরুজ্জামান কাজল বসে থাকায় ভিতরে প্রবেশ করতে পারছে না পুলিশ। দিকে তিনি তার আরেক শিশু সন্তানকে বাসার ভেতর দা হাতে ‘জিম্মি’ করে রেখেছেন।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে বাংলামোটরের ১৬ নম্বর লিংক রোডের ওই বাড়ির দোতলা বাসায় শিশু মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় শাহবাগ থানা পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এলেও বাসার ভেতরে এখনো ঢুকতে পারেনি তারা। বাসার ভেতরে ধারালো দা হাতে বসে আছেন শিশুটির বাবা নুরুজ্জামান কাজল। তিনিই কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না।
ঘটনাস্থলে থাকা কাজলের ভাই নুরুল হুদা উজ্জ্বল বলেন, কাজলের দুই সন্তান। একজন সাফায়েত, তার বড় আরেকজন সুরায়েত। আমরা সাফায়েতের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। সকালে বাসায় ঢুকতে গিয়েও পারিনি।
তিনি বলেন, কাজলই খুন করেছেন সাফায়েতকে। কারণ কাজল মাদকাসক্ত। আর আমরা যখন বাসায় ঢুকতে গেছি, তখন কাজল আমাদের দিকে দা নিয়ে তেড়ে আসেন। সুরায়েত বাবার কাছেই আছে।
প্রতিবেশীরা বলেন, কাজল মাদকাসক্ত। এ কারণে তাকে ছেড়ে চলে গেছেন তার স্ত্রী। তবে দুই ছেলেশিশু তার কাছেই আছে। তবে কাজল ও উজ্জ্বলের মধ্যে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ আছে।
ঘটনাস্থলে থাকা শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, একটা বাচ্চা মারা যাওয়ার খবরে ছুটে এসেছি। কিন্তু আমরা বাসার ভেতরে ঢুকতে পারছি না। ভেতরে রয়েছেন শিশুটির বাবা কাজল। তাকে বুঝিয়েও বাসায় ঢুকতে পারিনি। এখন বিকল্প কোনো উপায় বের করতে হবে।
র্যাব-২ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা কাজলের দোতলার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করেও পারিনি। তিনি এক সন্তানকে বুকে জড়িয়ে রেখেছেন। হাতে তার দা। আরেক সন্তানকে কাফনের কাপড় পরিয়ে টেবিলের ওপর রেখেছেন। ভেতরে হুজুরের মতো একজনও দেখতে পেলাম।
কাফনের কাপড়ে রক্ত দেখা গেছে কি-না, জানতে চাইলে এসআই বলেন, রক্ত দেখলাম না। আমরা বোঝাতে চাইলেও কাজল বলছেন, কে ডেকেছে আপনাদের? আপনাদের আসার দরকার নেই। ১টা বাজলেই আমার সন্তানকে দাফন করবো। আপনারা চলে যান।
আপনার মন্তব্য