জুয়েল রাজ, লন্ডন

২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৫:৪৭

করোনা ঠেকাতে ফের লকডাউনে ব্রিটেন!

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে ইংল্যান্ডের সমস্ত পাব, বার, রেস্তোঁরা এবং অন্যান্য আতিথেয়তার জায়গাগুলির বৃহস্পতিবার থেকে রাত ১০ টায় বন্ধ করার ঘোষণা  দিয়েছে সরকার। এই নির্দেশনা কেবলমাত্র টেবিল পরিষেবায় সীমাবদ্ধ থাকবে। আজ মঙ্গলবার  জাতির উদ্দেশ্যে ভাণের আগে প্রধানমন্ত্রী সংসদে এই পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন।

অনেক জায়গায় স্থানীয় কাউন্সিলগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ছয়জনের নীতি মানার সাথে ক্রেতাদের  ব্যাক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। নতুন নির্দেশনায় সেবাখাতে জড়িত কর্মচারীদের তথ্য ও সরক্ষণের জন্য বলা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের  কোভিড ১৯ এর সতর্কতা স্তর ৪ এ চলে গেছে, যার অর্থ সংক্রমণ "উচ্চতর বা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে"।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও আশা করেন- লোকেরা সামাজিক দূরত্বের নির্দেশিকা অনুসরণ করে, মুখের মাস্ক বা আচ্ছাদন পরে এবং নিয়মিত তাদের হাত ধোয়ার অভ্যাস চালু রাখবেন। এবং সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি লোকদের বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য অনুরোধ করবেন যেখানে এটি ব্যবসায়ে নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে।

মঙ্গলবার সকালে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা বৈঠক করবে এবং বোরিস জনসন কোবরার জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করবেন। এতে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের নেতারা অংশ নেবেন।

বিজ্ঞাপন




নতুন নিয়মের কথা বলতে গিয়ে দশ নম্বরের একজন মুখপাত্র বলেছেন: "নতুন পদক্ষেপগুলি বহু ব্যক্তি ও ব্যবসায়িকদের জন্য যে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করবে তা কেউই কম বলে বিবেচনা করে না।

 "আমরা জানি এটি সহজ হবে না তবে ভাইরাসজনিত ক্ষেত্রে পুনরুত্থান নিয়ন্ত্রণ করতে এবং স্বাস্থ্যখাত (এনএইচএসকে) সুরক্ষিত করতে আমাদের আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।"

উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের কিছু অংশে ইতিমধ্যে পব এবং রেস্তোঁরা খোলার সময়গুলির উপর কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে।

নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশটি গত শনিবার থেকে সেলফ আইসোলেশন না মানলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড বা প্রায় ১১ লাখ টাকা জরিমানার নতুন আইন চালু করেছে।

গত সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ব্রিটেনে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে।সে কারণে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল,উত্তরাঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় ইংল্যান্ডে কয়েক লাখ মানুষের ওপর নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

নতুন করে বিধি-নিষেধে বলা হয়েছে, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কারও করোনার লক্ষণ দেখা দিলে বা করোনা পজিটিভ ধরা পড়লে অবশ্যই সেলফ আইসোলেশনের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। বরিস জনসন এক বিবৃতিতে বলেন, এই ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে সবার সেলফ আইসোলেশন এবং বিভিন্ন বিধি-নিষেধ মেনে চলা। তিনি আরও বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি কারও অবহেলা করা উচিত নয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত