নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ এপ্রিল, ২০২০ ২৩:৫১

প্রথম ৩৫ দিনে আক্রান্ত ৪২৪, শেষ ৫ দিনে ১১৪৮

বাংলাদেশের করোনাচিত্র

বাংলাদেশে প্রথম নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এদিন প্রথম তিন জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্তর ঘোষণা দেয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর)। ৮ মার্চ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ দিন সময়। এই সময়ে দেশে করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৭২ জনে। আর এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬০ জন।

এরমধ্যে ৮ মার্চ থেকে প্রথম তিন সপ্তাহে শনাক্ত হন ৪২৪ জন। আর শেষ পাঁচদিনে (৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল) ১১৪৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এই চিত্রই জানান দিচ্ছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা।

করোনা সংক্রমণের পর পুরো বিশ্বজুড়েই দেখা গেছে এই চিত্র। প্রথম এক থেকে দেড় মাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ধীরে। এরপর থেকেই তা মহামারি রূপে আবির্ভূত হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ধরা পড়ার পর প্রথম সপ্তাহে (৮-১৪ মার্চ) শনাক্ত হন ৫ জন। ২য় সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় (১৫-২১ মার্চ ২০২০) ২৪ জনে, ৩য় সপ্তাহে (২২-২৮ মার্চ) ৪৮ জনে, ৪র্থ সপ্তাহে (২৯ মার্চ - ০৪ এপ্রিল) এসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭০ জন। আর ৫ম সপ্তাহে (০৫-১১ এপ্রিল) এসে মোট আক্রান্ত হন ৪২৪ জন।

এদিকে পাঁচদিনে আক্রান্তের সংখ্যা আগের পাঁচ সপ্তাহের আক্রান্তের চেয়ে দিগুণের চেয়ে বেশি বেড়েছে। এই পাঁচদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪৮ জন। এই সময়ে মারা গেছেন ৩০ জন। সবমিলিয়ে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬০ জন। আর শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১৫৭২ জন।

গত পাঁচদিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হন বৃহস্পতিবার এদিন শনাক্ত হন ৩৪১ জন। এই সময়ে মারা যাওয়া যান সবচেয়ে বেশি লোক। বৃহস্পতিবার ১০ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। এরআগের দিন বুধবার ২১৯ জন আক্রান্ত হন ও ৪ জন মারা যান। মঙ্গলবার ২০৯ জন আক্রান্ত হন ও ৭জন মারা যান। সোমবার ১৮২ জন আক্রান্ত হন ও ৫ জন মারা যান। আর রোববার ১৩১ জন আক্রান্ত হন ৪ জন মারা যান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে। এখন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। মানুষজন যদি সচেতন না হন তাহলে এই সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না। সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান এই চিকিৎসক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত