নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ মে, ২০২০ ১৬:৪৩

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৫৭১, সুস্থ ১৪, মৃত্যু ২

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৫৭১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে সরকারি হিসাবে দেশে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ৮ হাজার ২৩১ জন। এছাড়া এই সময়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৭০ জন। এই সময়ে দেশে আরও ১৪ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন; এনিয়ে সুস্থতার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১৭৪। এর মাধ্যমে এই প্রথম দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যার চাইতে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়ল।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১ মে) দুপুরে দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য বুলেটিনের অনলাইনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতাল, নিপসম ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের তিনটি ল্যাব করোনাভাইরাস পরীক্ষায় যুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৩১টি ল্যাবে কোভিড-১৯ শনাক্তের নমুনা পরীক্ষা চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই ৩১টি ল্যাবে ৫ হাজার ৯৫৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ হাজার ৫৭৩টি।

তিনি বলেন, ৩১টি ল্যাবের ৫ হাজার ৫৭৩টি নমুনা পরীক্ষার ফলে দেখা গেছে, নতুন করে ৫৭১ জনের শরীরে কোভিড-১৯-এর উপস্থিতি রয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ হাজার ২৩১ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭০ জন। মৃতদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন নারী। একজন ঢাকার, একজন ঢাকার বাইরের। একজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০, একজন ষাটোর্ধ্ব।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন সুস্থ হয়েছেন জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই কর্মকর্তা বলেন, এ নিয়ে হাসপাতাল থেকে মোট ১৭৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ডা. নাসিমা জানান, এর বাইরে প্রায় আটশ মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের আর কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ নেই। তবে তাদের এখনো পরীক্ষা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের তথ্য জানায় আইইডিসিআর। ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

এদিকে, ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী বুধবার বেলা তিনটা পর্যন্ত সারাবিশ্বে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ২২ হাজার ৮৩৫ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৮ জন, এবং সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ১০ লাখ ৫০ হাজার ৪০৮ জন।

দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৪৩ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ১৫৪ জন, আর সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৯ হাজার ৬৮ জন।

পাকিস্তানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৮১৭ জন, এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৮৫ জন, আর সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৪ হাজার ৩১৫ জন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত